স্টাফ রিপোর্টারঃ
চকরিয়ার খুটাখালী ইউনিয়নে রির্জাভ জায়গা দখল নিতে দিন-রাতে দফায়-দফায় মারধর নির্যাতনের পরেও সংবাদ প্রকাশের জের ধরে চার মাসের অন্তস্বত্ত্বা বোন আফরো খানমকে প্রাণ নাশের হুমকি দিল বড়ভাই মৌলভী বেলাল উদ্দিন।এমন অভিযোগ উঠেছে ভাইয়ের বিরুদ্ধে।
গত ১৭ এপ্রিল সকাল ১১টার দিকে এমন হুমকি দিয়েছেন অভিযোগ অন্তস্বত্ত্বা আফরোজার।
অভিযোগকারী চার মাসের অন্তস্বত্ত্বা আফরোজা খানম (৩৬) খুটাখালী ইউপির উত্তর মেদাকচ্ছপিয়া এলাকার মাওলানা মৃত আহমদ হোসাইনের মেয়ে তার স্বামী নাম শামীম উদ্দিন আবু(৪১)।
ভূক্তভোগী আফরোজা জানান,আমাকে দফায়-দফায় মারধর,নির্যাতনের ঘটনাটি আমি ১৬ এপ্রিল সাংবাদিকের মাধ্যমে,সংবাদ প্রচার করি।এখন সংবাদ প্রচারে উপরে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৭ এপ্রলি সকাল ১১টার দিন আমার মৌলভী বেলাল সহ অন্য হামলাকারীরা মিলে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়েছে।তাই অামি অসহায় ও নিরুপায় হয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি বলে জানিয়েছেন।
ভূক্তভোগী অভিযোগকারী আফরোজা খানম আরো জানান,আমার পিতা মৃত্যূর পূর্বে আমাকে পিতার বসতভিটা থেকে কিছু জায়গা দিয়ে আমাকে একটি ঘর তৈরী করে দিয়েছিল।আমি উক্ত রির্জাভ জায়গায় দীর্ঘ প্রায় দেড়যুগ যাবৎ বসবাস করে আসছি।পিতার মৃত্যূর পর থেকে আমার ভাই হায়দারনাশী দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মৌলভী বেলাল উদ্দিন গংরা আমাকে জায়গা থেকে উচ্ছেদ করে জায়গাটি দখল করতে নিতে উঠে পড়ে লেগেছে।তারই ধারবাহিকতায় গত ১৫ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০ টার দিকে এসে অনাধিকারে আমার বাড়ীতে ডুকে আমি সহ আমার স্বামীকে ইচ্ছমত শক্ত কাঠ ও লোহার হাতুড়ি দিয়ে মারধর করেছে।এসময় আমার বাড়ীতে থাকা টাকা পয়সা সহ মূল্যবান আসবাবপত্র নিয়ে গেছে।মারধর করা অবস্হায় আমি অজ্ঞান হয়ে পড়লে তারা আমার ঘরের দরজার বাহির থেকে লক করে দিয়ে চলে যায়।এমতাবস্হায় আমার স্বামী নিরুপায় হয়ে ভায়রাকে ফোনে বিষয়টি জানায়।তখন তিনি রাতে ঘটনা বলে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করলে তিনি সহ চকরিয়া থানার এসআই ফারুক সহ একদল পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার পূর্বক চকরিয়া স্বাস্হ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা করতে পাঠায়।তবে পুলিশ আসার খবর পেয়ে তারা বাড়ী থেকে সরে যায়।হামলাকারীরা হলেন,আমার বড় ভাই মৌলভী বেলাল উদ্দিন ও তার স্ত্রী জুবাইদা বেগম,নুর উদ্দিন ও তার স্ত্রী ইছমত আরা তানিয়া ও রমিজ উদ্দিন সহ অজ্ঞাত আরো ৩/৪জন লোক।তিনি আরো জানান,আমার ভাই মৌলভী বেলাল যে রাষ্ট্রদ্রোহী কয়েকটি মামলার কারাভোগ আসামী এলাকার সবাই জানে।
তিনি আরো জানান, গত ১৪ ফ্রেরুয়ারীতে তারা দলবদ্ধ হয়ে আমার বসত ঘরটি ভাংচুর করেছিল।এ ঘটনার অভিযোগ এখনো চকরিয়া থানার এসআই সায়েম হাতে বিচারাধিন রয়েছে।এর পূর্বে গত ২০২০সালের ১৭ ডিসেম্বর সকালে আমার বসত ঘর আগুন দিয়ে এক তৃতীয়াংশ পুড়িয়ে দিয়েছিল।এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দেওয়া রয়েছে।যা এখনো বিচারাধিন আছেন।কোন বিচার মৌলভী বেলাল না মেনে বৈঠক থেকে উঠে চলে আসে।
চকরিয়া থানার এস আই ফারুক বলেছিলেন,আমি গত ১৫ এপ্রিল রাতে মেদাকচ্ছপিয়া ঘটনাস্হলে গিয়ে আহত চার মাসের অন্তস্বত্ত্বা আফরোজা ও স্বামীকে উদ্ধার করেছিলেন বলে প্রতিবেদককে স্বীকার করেছিলেন।