সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:১১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশ কক্সবাজার এর আহবায়ক কমিটি গঠিত:খোকন আহবায়ক ,শাহীন যুগ্ন আহবায়ক ও বাবুল সদস্য সচিব রিসার্চ ইনিশিয়েয়েটিভস্ বাংলাদেশ(রিইব) অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত সবার আগে ৫ আগষ্টের হত্যাকারীদের বিচার পরে অন্য কিছু-কক্সবাজারে জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে ডা. শফিকুর রহমান কক্সবাজার পৌরসভার ইনডোরে বেলাল উদ্দীন চৌধুরী ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন ঈদগাঁও আমির সুলতান এন্ড দিল নেওয়াজ বেগম হাইস্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান  সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক বদলী হওয়ায় নতুন প্রশাসক শহীদুল ইসলামকে  নিয়োগ  নাইক্ষ্যংছড়িতে সেতুর অভাবে ২০ গ্রামের হাজারো মানুষ চরম দুর্ভোগে মাতারবাড়ীতে শ্বশুরবাড়ি থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ ৮ ফেব্রুয়ারী কক্সবাজারে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের আগমনে সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরলেন-অধ্যক্ষ নুর আহমদ আনোয়ারী মহেশখালীতে সাগরে মিলল তরুণের লাশ, পরিবারের দাবি হত্যা

শীতের মৌসুমে পর্যটকে মুখরিত দেশের সর্ণদ্বীপ খ্যাত মহেশখালীর সোনাদিয়া

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ১৭৬ বার পঠিত

এ.কে.রিফাত,মহেশখালী:

চলতি বছরের শীতের শুরুতে পর্যটকে মুখরিত মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়া দ্বীপ।সোনাদিয়ায় তাবুতে রাত্রীযাপনের মধ্য দিয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে-দেশের একমাত্র পাহাড়ী দ্বীপ কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার দক্ষিণে অবস্থিত জীববৈচিত্রে ভরপুর অপর এক দ্বীপ সোনাদিয়া। দেশের সর্ণদ্বীপ খ্যাত মহেশখালীর সোনাদিয়াতে বিগত কয়েক বছর ধরে দেশি বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।এতে করে স্থানীয়রা কিছুটা হলেও সাবলীল হওয়ার স্বাদ পাচ্ছেন বলে জানা যায়। জানা যায়,গেল কয়েক বছরে শীতের শুরুতেই দেশি-বিদেশী পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে এই দ্বীপ। পর্যটকদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে এখানে বেশ কয়েকটি অস্থায়ী (রিসোর্ট) স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। মূলত তাঁবুতে রাত যাপন করতেই এখানে পর্যটকেরা ভীড় করে থাকে। উক্ত দ্বীপে ঘুরতে আসা ঢাকাস্থ ব্যাংকার কানন বলেন,
আমি মহেশখালীর সন্তান হয়েও দীর্ঘদিন ঢাকা থাকার কারনে জীবনে কখনো সোনাদিয়ায় যাওয়া হয়নি।তবে দেশি-বিদেশী পর্যটকদের পদচারনা দেখে আমি সোনাদিয়া ঘুরতে আসি।কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাঙ্গা ঘাট থেকে যাত্রী বহনকারী বোটে করে সোনাদিয়া দ্বীপে যাওয়ার পথে দুই পাশের সবুজ পেরাবনের বেষ্টনী দেখতে খুব ভাল লাগে।ছোট ছোট নৌকায় জেলেদের মাছ ধরা, প্যারাবনে মহিষের পালের হেঁটে যাওয়া,নানান জাতের পাখিদের এদিক ওদিক ছূটে চলা এসব আমাদের মুগ্ধ করে ফেলে।তাছাড়া ব্যাংকার কানন আরও বলেন, সোনাদিয়া এসে তাবুতে রাত্রী যাপন তাও সমুদ্রতীরে, নেই কোন কৃত্রিম আলো আছে শুধু চাঁদ আর তারার মিঠু মিঠু জোৎস্না।বিষয়টা আমার কাছে অসাধারন লেগেছে। উল্যখ্য যে,কক্সবাজার সদর হতে যাত্রীবাহী স্পীড বোট নিয়েও সরাসরি সাগরপথে সোনাদিয়া দ্বীপে যাওয়ার সু-ব্যাবস্থা রয়েছে। দেশের দূর দুরান্ত থেকে কক্সবাজারে নানান সময়ে আগত সরকারি বেসরকারি ছোট বড় কর্মকর্তাদের মন এখন সোনাদিয়ার দিকে।তাই উনারা একটিবার হলেও সোনাদিয়া গিয়ে ঘুরে আসেন বলে জানা যায়। সোনাদিয়ার বাসিন্দা ও বেজা কর্তৃপক্ষের নিকট চাকরিজীবী গিয়াস উদ্দীনের কাছ থেকে জানতে পারলাম,সোনাদিয়া দ্বীপে একটি আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন শহর হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ জন্য এই দ্বীপের ৯ হাজার ৪৬৭ একর জমি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (বেজা) কর্তৃপক্ষকে বরাদ্দ দিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়। উক্ত বিষয়ে বেজা কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে জানান, সোনাদিয়া দ্বীপে পর্যটকদের জন্য পর্যটনকেন্দ্র, আবাসিক এলাকা,প্রাথমিক বিদ্যালয়,মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় এবং হাসপাতাল সহ উন্নতমানের যোগাযোগ ব্যাবস্তা ইত্যাদি গড়ে তোলার পরিকল্পনা করে সরকারের কাছ থেকে এই জমি বরাদ্দ নিয়েছেন বলে জানা যায়। তারা আরও বলেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে সেখানে পর্যটন শহর গড়ে তোলার পরিকল্পনা আছে সংস্থাটির। সোনাদিয়া দ্বীপকে ঘিরে বিশাল একটি সমুদ্রসৈকত আছে, ফলে কক্সবাজারের চেয়েও সেটি পর্যটকদের আকর্ষণে পরিণত হবে বলে আশা করছেন সংস্থাটি। কক্সবাজার জেলা তথ্য বাতায়ন অনুযায়ী, সোনাদিয়া দ্বীপটি কক্সবাজার শহর থেকে সাত কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে সাগরগর্ভে অবস্থিত। তিন দিকে সমুদ্রসৈকতঘেরা দ্বীপটির আয়তন প্রায় ৯ বর্গকিলোমিটার। সোনাদিয়া মূলত সাগরলতায় ঢাকা বালিয়াড়ি, কেয়া-নিসিন্দার ঝোপ, ছোট-বড় খালবিশিষ্ট প্যারাবন। এটি কক্সবাজারের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন। এই দ্বীপে ম্যানগ্রোভ বন রয়েছে প্রচুর পরিমানের। সেখানকার সাগরের পানি কক্সবাজারের মতো ঘোলা নয়, গভীর এবং নীল। এই দ্বীপে প্রচুর লাল কাঁকড়া ও সামুদ্রিক পাখি রয়েছে। এইসব দৃশ্যই মুলত দেশি বিদেশি পর্যটকদের মন কেড়ে নেই। স্থানীয়দের কাছ থেকে জানতে চাইলে তারা জানান, সোনাদিয়া দ্বীপটি কক্সবাজারের মুল ভুখন্ড থেকে আলাদা হওয়ার পরেও যেভাবে দেশি-বিদেশী পর্যটকদের নজর কেড়ে নিয়েছে,সেক্ষেত্রে সরকারের উদ্যোগে যদি এটিকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন শহরের আদলে সাজালে দেশের প্রতিটা অঞ্চলের মানুষ নিজেরা ব্যাবসা বানিজ্যের দিক দিয়ে এবং দেশের পর্যটন খাতে ব্যাপক লাভবান হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs