চকরিয়া প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের,ফুলছড়ি রেঞ্জের,মেদাকচ্ছপিয়া বনবিটে,জাতীয় উদ্যান(ন্যাশনাল পার্ক) এর সম্ভাময় লেক ও পাশে ভুমি দখল করে,স্হাপনা নির্মাণকারী দখলবাজ আবুল কালামের বিরুদ্ধে গত ১৪ ফ্রেরুয়ারী দৈনিক রূপালী সৈকত,জাতীয় দৈনিক এই বাংলা সহ বিভিন্ন পত্রিকা ও বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের ৮দিন সময় ফের হলেও,রহস্যগত কারণে বনবিভাগ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা না করে,নীরব ভূমিকা পালন করছে সংশ্লিষ্ট বনবিভাগ। দখলবাজ নন-ভিলেজার আবুল কালাম,খুটাখালী ইইপির ৬নং ওয়ার্ডের ফরেষ্ট অফিসপাড়ার মৃত আলী আহমদের ছেলে। উল্লেখ্য,গত তিন বছর ধরে লেক দখলে মাছ চাষ,পাশে স্হাপনা নির্মাণকারী ও বনের ভিতরে করা দখলবাজ আবুল কালাম ব্যক্তিগত নার্সারি।এর পূর্বেও খুটাখালী বনবিটের সেগুন বাগিচা-বাগানিয়া পাড়া নামক এলাকাতে আবুল কালাম নিজের বাড়ী নির্মানের জন্য একটি জায়গা দখল করেছিল।একই পাড়ায় তার মাকে আরেকটি জায়গা দখল করে দিয়েছিল।এই দুইটি জায়গা বিক্রি করে দিয়ে,বাগানিয়া পাড়া সংলগ্ন হরিণাঝিরি খালের ব্রীজের পাশে আরেকটি জায়গা দখল করে,ঘর নির্মাণ করে।এমতাবস্থায় পত্রিকায় সংবাদ হলে,তৎকালিন ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা সৈয়দ আবু জাকারিয়া উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে তাকে উচ্ছেদ করে।এরপরও সে জায়গাটি বিক্রি করে দিয়ে,সর্বশেষ দখল করেছে সরকারী লেক। এলাকার সচেতন মহলের প্রশ্ন-সরকারী লেক,পাশে ভূমি দখলে স্হাপনা নির্মাণ সহ পূর্বেও যে একের-পর বনভূমি দখল করে বিক্রি করে চলছে।এদিকে বনবিভাগ নীরব ভূমিকায় রয়েছেন।তাহলে দখলবাজ আবুল কালামের খুঁটি জোর কোথায়।দখলবাজ কালাম,বনভূমি বিক্রি সহ গাছ চোরদের সাথে আতাত করে,এখন লক্ষ-লক্ষ টাকার মালিক।যে কালাম ছিল,মাসিক বেতনধারী নার্সারি ওয়াসা।সেই কালাম এখন বনের রাজা,বনের মালিক।আর সরকারী কর্মকর্তারা দেখেও না দেখার ভান করে বসে রয়েছেন।তাই এবিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্হা নিতে বিভাগীয় বনকর্মকর্তা,সিএফ,সিসিএফ ও বনমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।না হলে সরকার হারাবে রাজস্ব সহ বিক্রিত বনভূমি ও বনের সংরক্ষিত গাছ। উচ্ছেদ অভিযান না করে ভারপ্রাপ্ত সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা ফারুক আহমদ বাবুল বলেন,লেক ও ভূমি দখলকারী আবুল কালামকে এসব ছেড়ে দিতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।তবু যখন সে জায়গা ছেড়ে দেয়নি।অবশ্যই অভিযান সহ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নেওয়া হবে।