বার্তা পরিবেশক।
পার্বত্য লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে যৌতুকের দাবীতে স্ত্রী রোজিনা আকতারকে দফায়-দফায় শারিরীক নির্যাতন চালানোর অভিযোগ।
মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) বিকেল ৩টার সময় উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বামছড়া নামক এলাকার ভিকটিমের নিজবাড়ীতে এ ঘটনা হয়েছে।
আহত রোজিনা আকতার,ওই এলাকার মৃত আবুল কাশেমের পুত্র সাদ্দাম হোসেনের স্ত্রী।
আহত রোজিনার পিতা আবুল হোসেন জানান,রোজিনা আমার বড় মেয়ে।বর্তমানে এক মেয়ে ও এক ছেলের মা হলেন রোজিনা।বিয়ের প্রায় ১০বছরের মাথায় এসে আমার জামাতা সাদ্দাম কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিধবা এক নারীর পরকিয়া প্রেমে পড়েছে।তখন থেকে সে বাড়ীতে আর স্ত্রী,সন্তানের খোঁজ রাখেনা।খবর নিয়ে এপর্যন্ত ক্যাম্প থেকে তাকে সাতবারের মত নিয়ে আসি।এমনকি তার বড় ভাই ফজল সহ স্হানীয় মেম্বার,চেয়ারম্যান ও এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদ্বয়কে বিষয়টি অবগত করি।তখন থেকে শুরু হল যৌতুক চাওয়ার তাল।তাকে একত্রে তিন লাখ টাকা দিতে হবে।এমন প্রস্তাব আমি ও আমার মেয়ে প্রত্যাখান করার পর থেকে আমার জামাতা সাদ্দাম তার মা গুলবাহার,ছোটভাই মোঃহারুন ও তার বড়ভাই ফজলের স্ত্রী মোরশিদা মিলে কয়েক দফা শারিরীক নির্যাতন চালায়।এমতাবস্থায় আমরা এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদের কাছে নালিশ দিই।নালিশের প্রেক্ষিতে শালিসে বসলে,সাদ্দাম ও তার পরিবার নির্যাতন করবে না মর্মে অঙ্গীকার করে রোজিনাকে নিয়ে যায়।কিছুদিন পরে আবারো সবাই মিলে যৌতুকের টাকার জন্য শারিরীক নির্যাতন করলে,বিষয়টি চেয়ারম্যান মহোদয়ের কাছে নালিশ দিই।তখন শালিস বসলে তারা নন-জুডিসিয়াল স্টাম্পে জবানবন্দি লিখে পূর্বের ন্যায় শান্তি শৃংখলা রক্ষা করে সংসার করবে বলে অঙ্গীকার নামা দিয়ে আবারো নিয়ে যায়।মঙ্গলবার বিকেল ৩টার সময় আবারো যৌতুকের কথা তুলে সবাই মিলে ধরে বেদড়ক মারধর করেছে।খবর পেয়ে আমি গিয়ে আহত মেয়েকে নিয়ে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে চিকিৎসা করায়।তবে আজকের মারধরের ঘটনাটি স্হানীয় মেম্বার শফি,চেয়ারম্যান,সমাজের সর্দা জহির হুজুরকে অবগত করেছি।
এবিষয়ে চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার বলেন,এখনতো আমি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের কাজে ব্যস্ত।যদি আবারো শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা করে।তাহলে আপনারা আইনের আশ্রয় নিন।আমার যা করার,বলার বলবো বলে জানিয়েছেন।