রূপালী ডেস্কঃ
লকডাউনে ঢিলেঢালাভাবই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর অন্তরায় মানছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, করোনায় মৃত্যু হার নিয়ন্ত্রণে থাকলেই কেবল কোটি কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে যাবে সে কারণে। প্রয়োজনে লকডাউন বাড়ানোর পরামর্শ।
দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০ হাজার। দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন ছয় হাজারের বেশি। চলছে সর্বাত্মক লকডাউন। তবু নানা অজুহাতে কিংবা মুভমেন্ট পাস নিয়ে বের হচ্ছে মানুষ।
প্রথম দিনের তুলনায় দ্বিতীয় দিন যেন প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে যান চলাচল। আবার সকালের চেয়ে বিকেল হলে বাড়ছে আনাগোনা। অথচ ঠিক এক বছর আগে এর চেয়ে কম সংক্রমণ মাথায় নিয়েও আরো কড়া লকডাউন দেখেছে দেশ।
রাস্তায় বের হওয়াদের মন্তব্য, এ বছর মানুষ লকডাউন মানতে রাজি নয়। কলকারখানা খোলা রাখলে কেউই লকডাউন মানবে না। গতবার সেনাবাহিনী ছিল। তারা অনেক কিছুই নিয়ন্ত্রণ করেছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে সেই লকডাউনে বাংলাদেশের সংক্রমণের হার প্রায় ৭৭ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। তবে প্রথম দু’দিনের এই চিত্র দেখে বিশেষজ্ঞরা বলছেন এভাবে চলতে থাকলে সংক্রমণ কিছুটা কমলেও কাঙ্ক্ষিত সুফল পেতে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে আরো কঠোরভাবে।
অধ্যাপক ডা. রিদওয়ানউর রহমান বলেন, লকডাউন বললেই মানুষ বাসায় থাকবে না। মানুষকে কিছুটা হলেও জোর দিতে হবে। নাহলে লাভ নেই।
প্রয়োজনে লকডাউন সময় আরো বাড়ানোর পরামর্শ তাদের