জিয়াউল হক জিয়া,চকরিয়াঃ
কক্সবাজারের উখিয়া শরণার্থী ক্যাম্পের এক অবিবাহিত মেয়ে তাসমিন আক্তার (১৯) সাথে দুই সন্তানের জনক চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউপির বাসিন্দা আবু হেনা (৩৫) নামের এক যুবকের বিয়ে। অভিযোগে মেয়েটিকে উদ্ধার করল চকরিয়া থানা পুলিশ।
জানা যায়,তাসমিন আক্তার (১৯) উখিয়া উপজেলার ট্যাংখালীর শফুল্লাকাটা এলাকার শরণার্থী রোহিঙ্গা ১৬নং ক্যাম্পের এ ব্লকের,বাসা নং-৪৯৬ এর মোঃ ইয়াহিয়ার মেয়ে।
আর বিয়ে করা বখাটে দুই সন্তানের জনক চকরিয়ার খুটাখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের হেতালিয়া পাড়া গ্রামের মৃত ছালেহ আহমদের পুত্র। তার প্রথম কন্যা সন্তান রাফিয়া(৭) ও ছেলে সন্তান নুর মোহাম্মদ (১)।
গত ১৮ এপ্রিল দুই সন্তানের জনক আবু হেনার স্ত্রী রাবেয়া বশরী চকরিয়া থানায় অভিযোগটি দায়ের করেন।যার এসডিআর নং-২৬৩৮/২১ইং।উক্ত অভিযোগে আইনগত ব্যবস্হা নিতে অপারগ হওয়ায়,গত ৫ মে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে অভিযোগ করলে,ইউএনও মহোদয় ওসি চকরিয়াকে আইনগত ব্যবস্হা নিতে অনুরোধ করেন।
উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ৭মে (শুক্রবার) বিকেল ৫টার সময় সরেজমিনে তদন্তে যান চকরিয়া থানার এসআই সায়েম। তদন্তে হাতেনাতে অভিযুক্ত বখাটে যুবকের ঘরে রোহিঙ্গা মেয়ে তাসমিনকে পেয়ে তাকে সন্ধ্যায় থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এবিষয়ে চকরিয়া থানার নিষ্ঠাবান এসআই সায়েম বলেন,ইউএনও স্যারের অনুরোধে সরেজমিনে তদন্তে যায়।এসময় রোহিঙ্গা মেয়ে তাসমিনকে অভিযুক্ত আবু হেনার বাড়ীতে পেয়ে থানায় নিয়ে আসি।পরেদিন শনিবার ( ৮মে) দুপুর সাড়ে বারটার সময় ইউএনও ও ওসি স্যারের নিদের্শে এএসআই কামাল,খুটাখালী ইউপির মহিলা ও পুরুষ দুই চৌকিদারের মাধ্যমে ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্যঃ-অভিযোগের বাদী আবু হেনার প্রথম স্ত্রী দুইসন্তানের জননী রাবেয়া বশরীকে ২০১৩ সালের ২০সেপ্টম্বর বিয়ে করেন।সেই থেকে সুখের দাম্পত্ত জীবনে তারা দুই সন্তানের ম্বা-বা হন।হঠাৎ যৌতকের লোভে মারধর, নির্যাতন শুরু করে।এসময় অভিযুক্ত আবুহেনার বড়বোন আছমিরা (৩০) ও তার স্বামী কালা মিয়া(রোহিঙ্গা) মিলে গত ১৫ এপ্রিল ক্যাম্প থেকে মেয়েটি এনে বিয়ে করিয়ে দেন।খবর পেয়ে প্রথম স্ত্রীর রাবেয়ার অভিযোগে রোহিঙ্গা মেয়েটিকে উদ্ধার পূর্বক ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।