সরওয়ার সাকিব:
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রতিনিয়ত ঘটছে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। এতে ক্যাম্পের পাশাপাশি পুড়ছে স্থানীয়দের বসতবাড়ী। ক্যাম্পের এই একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে জনমনে। আসলে কি ঘটনা গুলো পরিকল্পিতভাবে ঘটছে নাকি অপরিকল্পিত? স্থানীয়রা মনে করেন ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকারী কিছু সন্ত্রাসী বাহিনী কেরোসিন পেট্রোল দিয়ে ক্যাম্প জালিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি করছে । আবার অনেকে বলছে নতুনভাবে ঘরবাড়ি এবং বিদেশী সংস্থা এনজিও এর কাছ থেকে ত্রাণ পাওয়ার এবং নতুন ঘর করে দেওয়ার জন্য তাদের নিজের বাসায় নিজে আগুন জ্বালাচ্ছে। এই ভাবে জনমনে জেগেছে একেক রকম প্রশ্ন।
নতুন বছরের চলতি মাসের পরিসংখ্যানে দেখা যায় গত ২ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭ টার দিকে অগ্নিকাণ্ডে বালুখালী ২০ নং ক্যাম্পের জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা (আইওএম) পরিচালিত করোনা হাসপাতাল ও পাশের কয়েকটি বসতি পুড়ে যায়। ৯ জানুয়ারী বিকালে উখিয়ার ১৬ নম্বর শফিউল্লাহ কাটা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে প্রায় ৬০০ শেড পুড়ে ছাই হয়ে গেছে সর্বশেষ গত সোমবার (১৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাত দুইটার দিকে ক্যাম্প-৫ এর মেইন ব্লক-বি, সাব ব্লক-বি/৩ এবং ডি/২তে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।তবে ভয়াবহ এই আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে সে ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি স্থানীয় প্রশাসন। স্থানীয় মোহাম্মদ শাহাজাহান বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বন্ধ ও ক্যাম্পের চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া তুলে নিতে পুরো ক্যাম্প জ্বালিয়ে দিয়েছে তারা। ক্যাম্পের ভিতরে একটি উগ্রবাদি গ্রুপ মনে করে সেখানে শুধু তাদের কর্তৃত্ব থাকবে। কোনও ধরনের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থাকবে না। এছাড়া কোনও রোহিঙ্গাকে আগুন নেভাতে দেখা যায়নি। উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসরত স্থানীয় বাংলাদেশি যুবক মুবিনুল হক বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আগুন দুর্ঘটনা নয়, এটি একটি পরিকল্পিত ও আত্মঘাতী আগুন। আধিপত্য নিয়ে একটি উগ্রবাদি রোহিঙ্গা গ্রুপ কেরোসিন ও পেট্রোল দিয়ে পুরো ক্যাম্প জ্বালিয়ে দিয়েছে। নিজেদের ক্যাম্পে নিজেরাই আগুন ধরিয়ে দেওয়ার এ ঘটনা আমার চোখের সামনে ঘটেছে। স্থানীয় সচেতন মহল বলেন , ‘আগুনের ঘটনা রহস্যজনক। কারণ, ক্যাম্পে স্বাভাবিক অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটলে একসঙ্গে কয়েকটি জায়গায় কীভাবে আগুন জ্বলে উঠলো? বিভিন্ন জায়গায় একই সময়ে আগুনের ঘটনা কোনোক্রমেই স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছি না। স্থানীয় গ্রামবাসী ও সাধারণ রোহিঙ্গাদের মধ্যে ধারণার সৃষ্টি হয়েছে যে, অগ্নিকা-ের ঘটনাটি ‘পরিকল্পিত’। সাধারণ রোহিঙ্গারা বলছেন, এ ঘটনা আত্মঘাতী।তবে আসল গঠনাটি এখন ও প্রশ্নবিদ্ধ?