চকরিয়া(কক্সবাজার)প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আমির হামজা (এনআইডি নং- ৭৭৯১০৯৯২৭৩)ও স্ত্রী জুুহুরা খাতুনের(এনআইডি নং- ৬৮৭৩৩৪৪০৯৪) ছেলে বানিয়ে কক্সবাজার পৌরসভার দক্ষিন রুমালিয়ার ছড়ার বাসিন্দা দেখিয়ে জন্ম নিবন্ধন করেন রোহিঙ্গা মোহাম্মদ রশিদ (জন্ম নিবন্ধন- ১৯৮৯২২২৬৬০৭১৬৬৮১২)। অথচ আমির হামজা ২ ছেলে ৬ কন্যা সন্তান রয়েছে। তাহলে মোহাম্মদ রশিদ নামের কোন সন্তান নেই বলে প্রতিয়মান হয়।
মোহাম্মদ রশিদ খুটাখালী থেকে উচ্ছেদ করে টেকনাফ ২৬নং মৌচনী ক্যাম্পের বি বøকের ৮নং শেডের অধীন ইউএনএইচসিআর এর নিবন্ধীত এমআরসি নং- ২৫৫২৫-এ ভাতাভোগী রোহিঙ্গা নুর নাহার এর স্বামী। তবে সে প্রবাসী বলে জানা গেছে। বর্তমানে তারা ক্যাম্পে না থেকে ক্যাম্প প্রহরী প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ফের খুটাখালীতে বসবাস করছে। রশিদের নিবন্ধন শো- করে তার ছোট এক ছেলে মোহাম্মদ রিহানকে খুটাখালী ইউপির মধ্যম গর্জনতলীর ঠিকানা দেখিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন থেকে জন্ম নিবন্ধন করেন, যার নং- ২০০৬২৬৯২৫১২৬৬১৯৭১। একইভাবে খুটাখালীর গর্জনতলীর ঠিকানা দেখিয়ে মেয়ে আসমাউল হোসনার জন্ম নিবন্ধন করেন, যার নং- ২০১০২২১১৬৬৭৭২২৩৯৮। উচ্ছেদ অভিযানের সময় রোজিঙ্গাদের করা এনআইডি ও জন্ম নিবন্ধন কার্ড জব্দ করে উপজেলা প্রশাসন।
আমির হামজা (লালুর) কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ২ ছেলে রয়েছে। আর কোন ছেলে নেই। সুতরাং এরকম যদি কেউ করে থাকে আমি প্রতিবাদ জানাব।
আমির হামজার অপরাপর ভাই, ভাতিজা ও প্রতিবেশীদের সাথে যোগাযোগ করে জানাযায়, আমির হামজার ২জন স্ত্রীর মধ্যে ১ম স্ত্রী মারা যান। ২য় স্ত্রী জোহরা খাতুন জীবিত আছেন। ২ স্ত্রীর মধ্যে ২ ছেলে ৬ কন্যা সন্তান রয়েছে। ২ ছেলেরা হলো, সাইফুল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম, ৬ মেয়েরা হলো, পারেছা বেগম, আরেফা বেগম, বেবী আকতার, বিউটি আকতার, আমেনা আকতার, জন্নাতুল ফেরদৌস। সুতরাং তাদের পরিবারে মোহাম্মদ রশিদ নামের কোন ছেলে সন্তান নেই।
গর্জনতলীর বাসিন্দারা জানান, রশিদকে জন্ম নিবন্ধন করতে সহযোগীতা করেন, আমির হামজার মেয়ে বেবী আকতার। বেবীকে প্রায় সময় রোহিঙ্গা রশিদের বাড়িতে দেখা যেত।
খুটাখালী ইউপির চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুর রহমান বলেন, আমাদের পরিষদ থেকে তথ্য গোপন করে রোহিঙ্গা ১ মেয়ের নামে নিবন্ধন করায় মেম্বার ছৈয়দ হোছাইন তা জব্দ করে। পরে বাতিলের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে।