নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের পানেরছড়া রেঞ্জের সংরক্ষিত বনের গাছ ডাম্পার গাড়িতে করে বিভিন্ন এলাকায় পাচার হচ্ছে রেঞ্জ কর্মকর্তা রতন লাল মহত এর সহযোগিতায়।প্রতিদিন বনের বুক ছিড়ে গাছভর্তি ডাম্পার বাহির হয় শত শত ডাম্পার।
পানেরছড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা রতন লাল মহত এর বিরুদ্ধে পাহাড় সমপরিমাণ অভিযোগ।অভিযোগ আছে পাহাড় খেকো, বালু খেকো,বনভূমি দখলকারী ও বনভূমিতে অবৈধভাবে স্হাপনা নির্মাণকারীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে নির্বিঘ্নে বন অপরাধ করার সুযোগ করে দেয়া।তৈরি করেছেন নিজস্ব দালাল সিন্ডিকেট, তাদের দিয়ে অনৈতিকভাবে কৌশলে মাসে উপার্জন করছেন লাখ লাখ টাকা।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক স্হানীয় এক ব্যক্তি জানান,পানেরছড়া রেঞ্জের বনভূমিতে কোন লোক একটি ঘর নির্মাণ করার আগে রেঞ্জ কর্মকর্তা রতন লাল মহত’কে তার চাহিদা মতো টাকা দিতে হয়,চাহিদা মতো টাকা না দিলে ঘর করার অনুমতি পাওয়া যায় না। যদি কেউ অনুমতি ছাড়া ঘর নির্মাণ করে তাহলে অভিযান চালিয়ে ঘর ভেঙে গুড়িয়ে দেয়।
এমনি এক বিধবা মহিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা রতন লাল মহত এর চাহিদা মতো টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে রেঞ্জ কর্মকর্তা দলবেঁধে অভিযানের নাম দিয়ে বিধবার ঘরটি ভেঙে গুড়িয়ে দেয়।অথচ ভেঙে দেয়া বাড়িটির পাশে আরেকটি বহুতল ভবন নির্মাণ হচ্ছে।উদ্দেশ্য প্রণোদিত এ অভিযা’কে ঘিরে
এলাকায় মিশ্রপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই প্রশাসনের প্রতি বিরূপ মন্তব্য করছে।
আরও অভিযোগ রয়েছে,রতন লাল মহত পানেরছড়া রেঞ্জে যোগদানের পর থেকেই দখলদারদের সাথে অর্থ ভাগ বাটোয়ারা করে সামাজিক বনায়নের গাছ লোপাট,নার্সারির চারা বিক্রি, নির্দিষ্ট পরিমাণ বনায়ন সৃজন না করা সামাজিক বনায়নের গাছ অবৈধ করাতকলে পাচারের জন্য স্বাক্ষর করে ছাড়পত্র দেয়া সহ পছন্দের লোকজনকে সহজে টেন্ডার পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
এবিষয়ে জানতে রেঞ্জ কর্মকর্তা রতন লাল মহত এর মুঠোফোনে কল দিকে মোবাইল বন্ধ পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও)মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম বলেন,রেঞ্জ কর্মকর্তা রতন লাল মহত’কে বদলি করা হচ্ছে।