বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মহেশখালীতে নবাগত ইউএনও সাথে সাংবাদিকদের সৌজন্য সাক্ষাত ও মতবিনিময় কক্সবাজার পৌর, সদর ও রামু উপজেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত, নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন মহেশখালীতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রণোদনা বিতরণ চকরিয়ায় হাইব্রীড ধান ও উফশী সার পেয়ে খুশিতে উৎফুল্ল উপকারভোগী কৃষকেরা চকরিয়ায় উপজেলা কৃষকদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি এখন কক্সবাজারে। নাফ নদে সতর্কতা জারি করে মাইকিং মহেশখালীতে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালন  জয় কারাতে একাডেমির কমিটি সংস্কার: দায়িত্বে মুকুল, আবছার, জয়দেব শীর্ষ ৬ দালালের নিয়ন্ত্রণে কক্সবাজারের পতিতা ব্যবসা

রাস্তা কাটাকাটি আর খোঁড়াখুঁড়ির ভোগান্তিতে পর্যটন নগরী কক্সবাজার শহরের মানুষ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২১
  • ৮৩৬ বার পঠিত

সরওয়ার সাকিব।।

রাস্তা কাটাকাটি এবং খোঁড়াখুঁড়ির ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শহরবাসী। শুধু তাই নয় তীব্র যানজট আর ধুলোবালিতেও অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। শহরের
প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে শহরের বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ উপ-সড়কে কাটাকাটি আর খোঁড়াখুঁড়িতে যেন দুর্বিসহ জীবন পার করছে সাধারণ মানুষ। এর ফলে কোনো কোনো সড়ক মাসের পর মাস পড়ে রয়েছে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে। আবার কয়েকটিতে চলাচল করা গেলেও তাতে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।

এদিকে সর্বশেষ গত কয়েকদিন আগে শহরের বার্মিজ মার্কেট এলাকা থেকে শুরু করে বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের কাছাকাছি এলাকায় প্রধান সড়কের এক পাশ কাটার কারণে দুর্ভোগের মাত্রা আরো বেড়ে গিয়েছে। ফলে রাস্তাগুলো সরু হয়ে পড়ায় যানবাহন চলাচলে সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিবন্ধকতা। আর বড় বড় গর্তের কারণে প্রায় সময় ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এরপরও সেদিকে খেয়াল নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

এতে করে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে চরম মাসুল দিতে হবে পারে। তাই বর্ষা মৌসুম নিয়ে উদ্বিগ্ন শহরবাসী। কারণ, এই রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি আর কাটাকাটির কারণে বৃষ্টি হলেই
সড়কগুলো দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে চরম ভোগান্তিসহ দুর্বিসহের মধ্যে পড়বে জনজীবন।

শহরের বার্মিজ মার্কেট এলাকার বাসিন্দা নঈমুল ইসলাম জানান,যেভাবে শহরের প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে বিভিন্ন অলি-গলির সড়ক কাটা আর
খোঁড়াখুঁড়ি শুরু হয়েছে এতে করে ভবিষ্যতে পর্যটন শহরে যানবাহন নিয়ে তো দূরের কথা পায়ে হেঁটে পর্যন্ত চলাচল করা দায় হয়ে পড়বে।

গোলদিঘীর পাড়ে বসবাসকারী কাসেম জানান, আজ বেশ কয়েক মাস হয়েছে গোলদিঘীর পাড় এলাকায় রাস্তা কেটে উন্নয়নের নামে ফেলে রাখা হয়েছে। এতে করে বেড়েছে জনদুর্ভোগ। প্রতিদিন এই এলাকায় সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। একাধিকবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে তাগাদা দেয়ার পরও তিনি কোন পদক্ষেপ নেননি বলেও জানান এই বাসিন্দা।

শহরের বিকেপাল সড়কের বাসিন্দা ও উখিয়া ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অজিত দাশ বলেন, আমার এত বছরের জীবনে কখনো এক সাথে সব রাস্তার কাজ করতে দেখিনি। উন্নয়ন হচ্ছে ভাল কথা সেটা অপরিকল্পিত হওয়ার কারনে মানুষের কষ্ট হচ্ছে। সামনে বর্ষা কাল হয়তো, আমাদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা আসতে পারে। তবে এখনো সময় আছে দ্রুত পানি নিস্কাশনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।

শহরের তারাবনিয়ার ছড়ার বাসিন্দা মাস্টার শফিকুল হক বলেন, প্রায় ৩ মাস আগে রুমালিয়ারছড়ার রাস্তায় কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ পাইপ বসানোর কাজ শুরু
করেছে এখন পর্যন্ত তারাবনিয়ার ছড়া মসজিদের পাশের রাস্তা পর্যন্ত এসেছে তবে এখনো রুমালিয়ারছড়া গাড়ী বা পথাচারী চলাচলের উপযুক্ত হয়নি। যে ধীর গতিতে কাজ চলছে আমার মনে হয় ৫ বছরেও এই কাজ শেষ হবে কিনা সন্দেহ আছে।

এদিকে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের মুঠোফোনে পাওয়া না যাওয়ায় বক্তব্যে নেয়ার জন্য উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য মাসুকুর রহমান বাবুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই বিষয়ে বক্তব্যে দিতে রাজী হননি।

অন্যদিকে কক্সবাজার পৌরসভার প্যানেল মেয়র হেলাল উদ্দিন কবির বলেন, সত্যিকার অর্থে বর্ষা মৌসুম নিয়ে আমরা নিজেরাও উদ্বিগ্ন। ইতিমধ্যে বেশির ভাগ এলাকার নালার কাজ শেষ পর্যায়ে ,তবে রাস্তার কাজ শেষ করতে না পারায় সড়ক চালু করা যাচ্ছে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs