মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ১০:২৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
চকরিয়ায় মটর চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎ তারে জড়িয়ে চোরের মৃত্যু চকরিয়ায় এলজিইডি”র সাড়ে ৮কোটি টাকার কাজে হরিলুট! পেকুয়ায় সড়ক সংস্কারে বনবিভাগের বাধাঃ প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ। হত্যা নাকি আত্মহত্যা খোলাসা করেনি স্হানীয়রা” খুটাখালীতে গলায় উড়না পেঁচিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা সাময়িক নিষিদ্ধ হচ্ছে আওয়ামীলীগের রাজনীতি জেলা ছাত্রলীগের প্রভাবশালী নেতা আরিফ গ্রেফতার পেকুয়ায় লবন চাষীকে কুপিয়ে জখম চকরিয়া জমজম হাসপাতালে উত্তেজনা: পালাক্রমে দুই পক্ষের পাহারা ও তালা ভেঙ্গে এমডি’র চেয়ার দখল! চকরিয়ায় সাবেক কাউন্সিলর,পৌর-ছাত্রলীগ নেতা ও ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা গ্রেফতার বিএনপির সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন তামিম ইকবাল

রামু খুনিয়াপালং কেনো বন হাতির মৃত্যু ঘটে বারবার জনমনে প্রশ্ন হাতির ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৩১ আগস্ট, ২০২১
  • ২২৭ বার পঠিত

(ফরিদুল আলম রনি)

হাতিটিকে নৃশংসভাবে হত্যা করল কে বা কারা কারাহাতির মাটিচাপা দেয়া খণ্ডিত অংশ উদ্ধার হয় রামুর খুনিয়া পালং একটি জমি থেকে। এর আগেও অনেকবার হাতি হত্যা করা হয়েছিল এই ইউনিয়নে এর রহস্য কি, উইউএনও প্রণয় চাকমা জানান, সোমবার রাতের কোনো এক সময় হাতিটিকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর মৃতদেহ গুম করার জন্য পা ও মাথা বিচ্ছিন্ন করে মাটিচাপা দেয়া হয়। তবে, সকাল হয়ে যাওয়ায় পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এর পেছনে কারা দায়ী কারা জড়িত বনবিভাগের জায়গা দখল করে গাছপালা পরিবেশ ধ্বংস করে শেষ পর্যন্ত রক্ষা পাচ্ছেনা পশুরাও উপজেলার খুনিংয়াপালং ইউনিয়নের ধোয়াপালং এলাকায় মঙ্গলবার দুপুরে পাওয়া যায় মৃতদেহটি। এর শরীরে অংশের আশপাশে মাটিচাপা দেয়া ছিল খণ্ডিত পা ও মাথা। রামু উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রণয় চাকমা খবরটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নজির আহম্মদ নামের স্থানীয় একজনকে আটক করেছে বনবিভাগ। তিনি জানান, সোমবার রাতের কোনো এক সময় হাতিটিকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর মৃতদেহ গুম করার জন্য পা ও মাথা বিচ্ছিন্ন করে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে তিনি বলেন, হাতিটি মা হাতি ধারণা করা হচ্ছে। খাবারের খোঁজে এটি লোকালয়ে এসেছিল হয়ত। তখন দুর্বৃত্তরা বৈদুত্যিক ফাঁদ পেতে এটিকে হত্যা করেছে। খণ্ডিত মৃতদেহটি স্থানীয়রা সকালে দেখে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বন বিভাগে খবর দেয়। কর্মকর্তারা সেখানে গিয়ে মৃতদেহের মাটিচাপা দেয়া অংশ উদ্ধার করে। খুনিংয়াপালং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সচেতন মহলের দাবি এর পেছনে কারা দেয় তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জোর দাবি জানান পাশেই বন আছে। সেখান থেকে প্রায়ই খাবারের খোঁজে হাতির পাল লোকালয়ে চলে আসে। কিছু অসাধু ব্যক্তি হাতির আক্রমণের ভয়ে বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতে রাখে। মৃত হাতির খণ্ডিত অংশ উদ্ধারের সময় রামু উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন জুলকার নায়েক সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘ময়নাতদন্তের জন্য আলামত সংগ্রহ করেছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্থানীয় গ্রামবাসী কেউ আশেপাশের বাড়িঘর থেকে বৈদ্যুতিক তারের ফাঁদ পেতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে। হাতিটি যেখানে মারা গেছে সেটি এলাকাবাসীর জোত জমি। এর পাশেই রয়েছে বন। আর আশেপাশে লোকজনের ঘরবাড়িও রয়েছে। এসব বাড়িঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ আছে। কোনো বাড়িঘর থেকে লম্বা তার দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে হাতিটিকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। ইউএনও প্রণয় চাকমা জানিয়েছেন, হাতি হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs