মোঃসাইদুজ্জামান সাঈদঃ
রামুর পাশ্ববর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি গর্জনিয়া ও কচ্ছপিয়াতে অবৈধ বালুবাহী ট্রাক্টার-ট্রলিসহ লাইসেন্সবিহীন বিভিন্ন যানবাহন বেপরোয়া গতিতে চলাচল করছে।রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূন। বাঁক খালী,ছোট জামছড়ি,কচ্ছপিয়া,দৌছড়ি নদীর ভাংগনে প্রায় সকল রাস্তা ভেঙে যায়। জনসাধারণের চলাচলের জন্য শুধুমাত্র ভূতের মোড়ের রাস্তাটায় সকল পেশাজীবি ও কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের একমাত্র সম্ভল।
একশ্রেণী লোভী ব্যবসায়ী, জমি চাষের জন্য সু-রুম থেকে ট্রাক্টর ক্রয় করে গ্যারাজে নিয়ে ট্রলি বানিয়ে সড়কে অবাদে চলাচল করছে মালামাল বহনকারী অবৈধ ট্রাক্টর। শুধু মাটি বহন নয় এ ট্রাক্টারগুলি দীর্ঘদিন বেপরোয়া গতিতে অতিরিক্ত ইট, বালি, সিমেন্ট, রড, ধান, টিনসহ বিভিন্ন গৃহনির্মান সামগ্রী বোঝাই করে সড়কে চলাচল করছে। শুধু মাটি চাষের জন্য তৈরী এ ট্রাক্টারের ব্রেক অত্যন্ত দুর্বল বিধায় সড়কে তাৎক্ষনিক নির্দিষ্ট স্থানে চালকরা এর গতিরোধ করতে পারে না। ফলে সড়কে চলাচলকারী অন্যান্য যানবাহনের যাত্রীরা দূর্ঘটনার স্বীকার হয়ে পঙ্গুত্ববরণসহ প্রানহানীর স্বীকার হয়। ট্রাক্টারের মাঝামাঝি দুটো বড় চাকার কারনে গ্রামীন জনপথের পিচ ঢালা পথ ও মাটির সড়ক ভেঙ্গে যাচ্ছে ।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা অনুযায়ী সকল “গ্রাম হবে শহর”। কিন্তু কিছুসংখ্যক অসাধু ব্যবসায়ী নিজেদের লাভের জন্যে বিভিন্ন ব্রীক ফিল্ডসহ বিভিন্ন স্থানে প্রশাসনকে না জানিয়ে এসব অবৈধ ট্রাক্টার দিয়ে বিভিন্ন মালামাল ঝুকিপূর্ণভাবে সড়কে চলাচলে সহায়তা করছে। বিকট শব্দে চলাচলকারী এসব ট্রাক্টারের অদক্ষ চালকরা জানে না কোন ট্রাফিক নিয়ম কানুন। তাদের মনমত করে তারা সড়কের মাঝ দিয়ে চলাচল করে। বেক লাইট, হর্ণ, ইন্ডিকেটর লাইট এসবের কোন মানে জানে না চালকরা। প্রতিদিন কোন না কোন এলাকায় দূর্ঘটনা লেগেই আছে।
চালকরা নিজেদের অপরাধ কখনো স্বীকার করে না। উল্টো অন্যান্য বৈধ যানবাহনের চালকদের উপর চড়াও হয়। তারা বিভিন্ন জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে রাস্তার পাশে চুক্তিভিত্তিক জমি ভরাট করে থাকে। তখন একসাথে ১/২টি ট্রাক্টার সড়ক দিয়ে এলোমেলো চলাচল করলে ঐ রাস্তায় অন্য যানবাহন বন্ধ হয়ে যায়। এসময় অন্য যানবাহনরা তাদের কাছে অসহায় হয়ে পড়ে।
এসব অবৈধ ট্রাক্টার থেকে মুক্তি চায় রামু উপজেলার কচ্ছপিয়ার জনগণ। স্থানীয় জনসাধারণের দাবী,কচ্ছপিয়া শুকমনিয়া ইব্রাহিম, তুলাতলী পাড়া রশিদ আহম্মদের ছেলে মোহাম্মদ ইসমাঈল, গর্জনিয়া ইউনিয়নের আলহাজ্ব রাজা মিয়া ছেলে আবদুল্লাহ অবৈধ ভাবে মাটি ও বালি বিক্রি করছি লাইসেন্সবিহীন ট্রাক্টার দিয়ে। যে রাস্তা দিয়ে বেপরোয়া গতিতে চলাচল করছে ট্রাক্টার, সেখানে রয়েছে বেশকিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।এতে ঝুঁকিতে রয়েছে কমলমতি শিক্ষার্থীরা।
নাইক্ষ্যংছড়ি হাজী এম এ কালাম ডিগ্রী কলেজর অধ্যক্ষ আলহাজ্ব ও আ ম রফিকুল ইমলাম জানান,সড়কে এসব বেপরোয়া ট্রাক্টর চলাচলের কারনে আমাদের সন্তানরা স্কুলে যেতে ভয় পায়। আমাদের কলেজের ছাত্রীরা প্রতিদিন ঝুকির মধ্যে রাস্তার পাশ দিয়ে হেটে কলেজে আসা-যাওয়া করে। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি করছি, এসব যানবাহন রাস্তা থেকে সরিয়ে দিয়ে বিকল্প হিসাবে পিক-আপ বা অন্য কোন যানবাহন চালু করা হোক।