ফরিদুল আলম রনি, রামু:
আজ রামু উপজেলা বাঁকখালী কনফারেন্স হলরুমে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ আই ডাবলিউ আর প্রকল্পের ২য় বছরের বাৎসরিক অগ্রগতি অবহিতকরন ও শিখন সভা অনুষ্টিত হয়। জনাব রোনাল্ড প্রবির চিচিম, সিনিয়র ম্যানেজার, কক্সবাজার এসিও এর সভাপতিত্বে কর্মশালাটি শুরু হয়।
প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ রাশেদুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, রামু উপজেলা। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জনাব নুর মোহাম্মদ, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, রামু উপজেলা জনাব নুরুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, রামু উপজেলা, জনাব মিসাকো প্রোগাম কোঅর্ডিনেটর ওয়ার্ল্ড ভিশন জাপান, ইউজিন লি, প্রজেক্ট ম্যানেজার, আই ডাবলিউ আর প্রকল্প, রামু। নুরুল ইসলাম সেলিম, সভাপতি রামু প্রেস ক্লাব, কামাল শামসু উদ্দিন প্রিন্স, মুজিবুর রহমান বাবুল,গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ,সালেহ উদ্দিন, পন্যেল চেয়ারম্যান, বিপুল বড়ুয়া মেম্বার, কর্মশালায় ৪ টি কর্মএলার চেয়ারম্যন, শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীর প্রতিনিধি, ধর্মীয় নেতা, ও উপকারভোগী সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রজেক্ট ম্যানেজার ইউজিন লী।
কর্মশালায় প্রকল্পের এক বছরের অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জ, বেস্ট প্রাকটিস ও শিখন সমূহ মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন জনাব মোঃ মিজানুর রহমান, প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর, আই ডাবলিউ আর প্রকল্প। প্রকল্পের অগ্রগতি উপস্থাপনার পর প্রকল্পের উপকারভোগী সদস্য, শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীর প্রতিনিধি, ধর্মীয় নেতা, ও অন্যান্য অংশগ্রহনকারীগন প্রকল্পের চলমান কর্মকান্ডের উপর তাদের মূল্যবান মতামত গ্রহন করা হয়।
প্রকল্পটি রামু উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নের( ফতেখারকুল, জোয়ারীনালা, গর্জনিয়া ও কচ্চপিয়া) ৩০ টি গ্রামে কাজ করছে।
প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য হলো রামু উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নের লক্ষবস্তু গ্রামে শিশুসহ দরিদ্র পরিবারের জন্য নিরাপদ পানি ও স্যানেটারি ল্যাট্রিনের প্রবেশাধিকার নিশ্চত করে পানি ও স্যানিটেশন পরিস্থিতির উন্নতি সাধন করা।
প্রকল্পটি ১ লা মে ২০২৪ ইং হতে মার্চ,২৫ পর্যন্ত ৪ টি ইউনিয়নের ৩০ টি গ্রামে মোট ৪০ টি পানির উৎস( ডিপ টিউবয়েল-১৬ টি শ্যালো টিউবয়েল-১২ টি ও ডিপ টিউবয়েল উইথ সাব মার্সেবল পাম্প-১২ টি) স্থাপন করেছেন। যেখানে সরাসরি ৯১৮ টি পরিবারের ৪৫১১ জন জনগন নিরাপদ পানির সুবিধা পাচ্ছেন। ২০ টি কমিউনিটি টয়লেট স্থাপন করেছেন যেখানে সরাসরি ১৫৬ টি পরিবারের ৭৪৭ জন লোক উন্নত স্যানিটেশনের সুবিধা পাচ্ছেন।
তাছাড়াও প্রকল্পটি কর্মএলাকার মধ্যে ২০ টি হাই স্কুল ও মাদ্রাসায় ওয়াস কার্যক্রম বাস্থবায়ন করছেন। এই বছরে ২ টি ওয়াস বøক, ২ টি স্কুল টয়লেট ও ৩ টি লেট্রিন রিনোভেসন, ৬ টি হ্যান্ড ওয়াসিং ষ্টেশন স্থাপন, ৪ টি ডিপটিউবয়েল স্থাপন করেছেন। যেখানে মোট ১৭ টি প্রতিষ্টানের ১০০৮৬ জন ছাত্র-ছাত্রী সরাসরি নিরাপদ পানি ও উন্নত স্যানিটেশনের সুবিধা পাচ্ছেন।
প্রকল্পটি গত ১ বছরে স্বাস্থবিধি ও আচরনের উন্নয়নের জন্য নানাবিধ কার্যক্রম সম্পুর্ন করেছেন যেমন, স্বাস্থ্য সর্ম্পকিত জন সচেতনতামূলক সেশন, পোষ্টার লিফলেট বিতরন, দিবস উৎযাপন, বিভিন্ন ষ্টেকহোল্ডারদের সহিত এডভোকেসি মিটিং ইত্যাদি। প্রকল্পের ২য় বছরে সর্বমোট ৩৮৬৫০ জন জনসংখ্যা প্রত্যক্ষভাবে এই প্রকল্পের সংগে যুক্ত হয়েছেন।
সর্বোপরি প্রকল্পটি রামু উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নে পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রাখছেন।