প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
রামুর জোয়ারিয়ানালায় আম বাগানে বৈদ্যুতিক তারের ঘেরা-বেড়ায় বিদ্যুস্পৃষ্ঠ হয়ে মৃত্যু পথযাত্রী হয়েছে এক মাদ্রাসা ছাত্র। গুরতর আহত মো. মিজান (১৪) জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের পূর্ব মুরাপাড়া এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে। গত ১০ মে বেলা ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহত মিজানের মা হামিদা বেগম জানিয়েছেন-ওই এলাকার মৃত আবদুল হাকিমের ছেলে জাফর আলম বাড়ির পাশর্^বর্তী বনভূমি দখল করে আম বাগান সৃজন করেছেন। ওই বাগানের ঘেরা-বেড়ায় সম্প্রতি বিদ্যুতের জিআই তার স্থাপন করে। ১০ মে সকালে তাদের গৃহপালিত একটি ছাগল ওই বাগানে প্রবেশ করে। ছাগল আনতে গিয়ে বাগানের ঘেরা-বেড়ায় দেয়া বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে পড়ে ছটফট করতে তার ছেলে মিজান। বাগান মালিক তাৎক্ষণিক বিষয়টি জানার পরও বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধে বিলম্ব করায় মিজান বিদ্যুতায়িত হয়ে রক্তাক্ত হন। মিজানের দু হাত ও কোমরের একাংশ বিদ্যুস্পৃষ্টে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে যায়।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য মিজানকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। কিন্তু অর্থাভাবে দরিদ্র পরিবারটি এখনো মিজানকে চমেকে নিতে পারেনি। বর্তমানে বিনা চিকিৎসায় মিজান মৃত্যু পথযাত্রী হলেও বিদ্যুতের তার স্থাপনকারি প্রভাবশালী আম বাগান মালিক আহত এ শিশুর চিকিৎসায় কোন প্রকার সহযোগিতা করছে না।
মিজানের মা হামিদা বেগম আরো জানিয়েছেন-এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে রামু থানা এবং কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এছাড়া পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত জাফর আলমের বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। তিনি আরো জানান-জাফর আলমের পরিবারের সদস্যরা ইয়াবা ব্যবসার মাধ্যমে সম্প্রতি বিপুল অর্থ-সম্পদের মালিক হয়েছেন। তারা এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে নানা অপকর্ম করে আসছে। এমনকি তার ছেলে সুচিকিৎসার জন্য কোন ভূমিকা না রেখে উল্টো তাদের হুমকী-ধমকি দিচ্ছে।
হামিদা বেগম মিজানের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার পাশাপাশি এ ঘটনায় দোষিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।