নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের টেকনাফে দৈনিক যুগান্তর এর ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি সাংবাদিক আবুল কাশেমের উপর ইয়াবা কারবারী ও অস্ত্রধারী চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা গুলি ও হামলা করেছে।
এতে সাংবাদিক আবুল কাশেমের বাম হাতে আঘাত প্রাপ্ত হয়। এঘটনায় সাংবাদিক আবুল কাশেম বাদী হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এতে ৬জনের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাতনামা ৫/৬জনকে আসামি করা হয়।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাতে টেকনাফ থানায় উক্ত মামলা দায়ের করা হয়।
উক্ত ঘটনায় টেকনাফ সদর,ঝিমংখালী,হোয়াইক্যং, নাইক্ষংছড়ি, পেকুয়াসহ পুরো কক্সবাজারে একযুগে মানববন্ধন করেছে সাংবাদিক ও সচেতন নাগরিক সমাজ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,সাংবাদিক আবুল কাশেমের উপর সন্ত্রাসী কর্তৃক গুলি বর্ষণ ও হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান। হামলাকারীরা পুরাতন রোহিঙ্গা। এরা কীভাবে স্থানীয়দের সাথে গ্রামে বসবাস করেন? হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি গ্রামগঞ্জে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের দ্রুত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হস্তান্তরের দাবি জানান।
এদিকে সোমবার (১৮ নভেম্বর) দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টারদিকে উপজেলার ঝিমংখালী এলাকার বাসিন্দা মুহাম্মদ হোছনের ছেলে ডজন খানেক মামলার আসামি ওসামা প্রকাশ বর্মাইয়া ওসামা ও ইউনুছ,আব্দুল্লাহসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জনের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালায়।
হামলায় আহত সাংবাদিক আবুল কাশেম বলেন, তারা আমাকে কিছুদিন আগেত্থেকে পরোক্ষভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। প্রথমে এসব কানে ডনেইনি। পরে ঠিক পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি ও হামলা চালায়। এতে বাম হাতে আঘাত প্রাপ্ত হয়। এসময় তারা আমার গলার স্বর্ণের চেইন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। গুলির আওয়াজ শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে আসায় কোনোমতে প্রাণে রক্ষা পাই এবং ফাঁকা গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে অস্ত্রধারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়।
সাংবাদিক আবুল কাশেমের সাথে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী মুহাম্মদ আলমগীর জানান, মাছের ঘেরের কথাবার্তা শেষ করে শাহাব উদ্দিনের বাড়ি থেকে ফেরার পথে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা গুলি ও হামলা চালিয়ে সাংবাদিক কাশেমের গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। গুলির আওয়াজ শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা দ্রুত পালিয়ে যায়।
এরা এলাকার চিহ্নিত অস্ত্রধারী ও ইয়াবা কারবারী। এদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।
সাংবাদিক আবুল কাশেমের উপর হামলার ঘটনায় সাংবাদিকরা ফুঁসে উঠেছে এবং এমন জঘন্য হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। সন্ত্রাসীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক সমাজ। দ্রুত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার না করলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলেও জানান তারা।
জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মাদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, থানায় মামলা এন্ট্রি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।