নুরুল হোসাইন, টেকনাফ:
জাতীয় দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার কক্সবাজারের ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি আবুল কাশের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে টেকনাফে সাংবাদিক ও নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২০ নভেম্বর বুধবার দুপুরে টেকনাফ পৌর শহরের ঝর্না চত্বর সংলগ্ন মসজিদের সামনে এ মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। যুগান্তরের টেকনাফ প্রতিনিধি নাছির উদ্দীন রাজের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন,টেকনাফ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ,টেকনাফ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার টেকনাফ কমিটির সভাপতি নুরুল হোসাইন, আমার সংবাদ প্রতিনিধি নুর হাকিম আনোয়ার, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও যায়যায়দিন প্রতিনিধি আরাফাত সানি,জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা টেকনাফ কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ও বাংলাদেশ সমাচারের বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ শহীদুল্লাহ, বাংলাদেশ বুলেটিনের প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম।
উপস্থিত ছিলেন,টেকনাফ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আজিজ উল্লাহ, টেকনাফ উপজেলা প্রেসক্লাবের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জসিম উদ্দিন ইমন, আনন্দ টিভি ও ভোরের কাগজের প্রতিনিধি শহিদুল্লাহ,নাফ রেডিওর প্রতিনিধি আব্দুল আজিজ, মানবাধিকার প্রতিদিনের প্রতিনিধি ছৈয়দ আলম,দৈনিক আজকালের খবরের প্রতিনিধি ফারুকুর রহমান, দৈনিক আমার বার্তার প্রতিনিধি মোহাম্মদ তোফাইল।
এ সময় উপস্থিত বক্তারা বলেন, বর্মাইয়া ওসামার ফাঁকা গুলি থেকে বেঁচে গেলেন সাংবাদিক আবুল কাশেম। সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে হঠাৎ করে চিহ্নিত মাদক, মানব পাচার ও অস্ত্র অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হচ্ছে। এদিকে সাংবাদিকরা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করিলে অপরাধীরা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে সাংবাদিকদের হামলা চালাচ্ছে।
মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন,তিনি বাম হাতে আঘাত পেয়েছেন। তার চিৎকারে লোকজন ছুটে এলে সন্ত্রাসীরা ফাঁকা গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়।
ওই সব হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করা না হলে আরও বৃহৎ কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন সাংবাদিক নেতারা।
উল্লেখ্য, সোমবার (১৮ নভেম্বর) দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টারদিকে উপজেলার ঝিমংখালী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। উপজেলার ঝিমংখালী এলাকার বাসিন্দা মুহাম্মদ হোছনের ছেলে ডজন খানেক মামলার আসামি ওসামা প্রকাশ বর্মাইয়া ওসামা ও ইউসুছ,আব্দুল্লাহসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জনের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালায়।