রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সবার আগে ৫ আগষ্টের হত্যাকারীদের বিচার পরে অন্য কিছু-কক্সবাজারে জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে ডা. শফিকুর রহমান কক্সবাজার পৌরসভার ইনডোরে বেলাল উদ্দীন চৌধুরী ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন ঈদগাঁও আমির সুলতান এন্ড দিল নেওয়াজ বেগম হাইস্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান  সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক বদলী হওয়ায় নতুন প্রশাসক শহীদুল ইসলামকে  নিয়োগ  নাইক্ষ্যংছড়িতে সেতুর অভাবে ২০ গ্রামের হাজারো মানুষ চরম দুর্ভোগে মাতারবাড়ীতে শ্বশুরবাড়ি থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ ৮ ফেব্রুয়ারী কক্সবাজারে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের আগমনে সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরলেন-অধ্যক্ষ নুর আহমদ আনোয়ারী মহেশখালীতে সাগরে মিলল তরুণের লাশ, পরিবারের দাবি হত্যা নাইক্ষ্যংছড়িতে অবৈধ ইটভাটায় যৌথ অভিযান তিন ভাটায় ৩ লাখ জরিমানা খুটাখালীতে লাল কার্ড নামক ভূয়া আইডি ব্যবহাকারী চাঁদার টাকা তুলতে গিয়ে পরিচয় শনাক্ত

মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকা উখিয়ায় একাধিক অস্থায়ী পশুরহাট!

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৪ জুন, ২০২৪
  • ১১৭ বার পঠিত
oppo_0

।। এম আর আয়াজ রবি,সীমান্ত এলাকা ঘুরে।।

মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের অবস্থানের কারণে উখিয়া একটি বিশেষায়িত উপজেলা। আসন্ন কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি-উখিয়ার বিভিন্ন পশুর হাট জমে উঠছে। কোরবানীর ঈদ আগামীকাল সোমবার। অনেকেই মঙ্গলবার ও বুধবারও পশু কোরবানী করে থাকবেন। সেজন্য সীমান্তবর্তী পশুর হাটগুলো পশু ক্রয় বিক্রয়ের ধুম পড়ছে এবং পশুর হাটগুলোতে আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে ক্রেতা বিক্রেতাদের ভীড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। কয়েকদিন ধরে গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ক্রয় বিক্রয় হচ্ছে।

রোহিঙ্গা অধ্যুষিত উখিয়ায় হাটগুলোতে ছোট-বড় নানা রং ও আকৃতির পশু উঠেছে হাটে। ক্রেতার চাহিদা অনুসারে বিভিন্ন প্রজাতির গরু-মহিষ-ছাগল আনা হয়েছে হাটে। মিয়ানমার থেকে অবাধে গরু এসেছে। ৪০/৫০ হাজারের ঘর থেকে শুরু করে কয়েক লাখ টাকা দামের গরু আনা হয়েছে হাটে। গত কয়েকদিন যাবত কেউ এসেছেন পশুর হাটের বাজার মূল্য দেখতে। হাটে প্রচুর ক্রেতার ভীড় হলেও বেচাবিক্রি তেমন নেই। ক্রেতারা বলছেন কোরবানির পশুর উচ্চমূল্য হাঁকা হচ্ছে।আজ শেষ দিন তাই দেখে শুনে নেয়া হবে গরু। উখিয়া-টেকনাফের ৩৩টি ক্যাম্পে প্রায় বারো লাখের বেশি রোহিঙ্গার বসবাস। এখানে প্রতি বছর কোরবানির সময়ে দেশি-বিদেশি এনজিও সংস্থা রোহিঙ্গাদের জন্যে কোরবানির পশু ক্রয় করে থাকেন।
উখিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আসন্ন ঈদে কোরবানি পশু প্রস্তুত আছে ২৫ হাজার ৫১০টি। তার মধ্যে ১৬ হাজার ১৯টি গরু, এক হাজার ৮৩৬টি মহিষ, ছয় হাজার ৫০২টি ছাগল এবং এক হাজার ১৫৪টি ভেড়া রয়েছে। এসব পশু আসন্ন ঈদ উপলক্ষে বিক্রয় করা হবে। এবারে উখিয়ায় কোরবানে পশু চাহিদা ধরা হয়েছে ২০ হাজার ৪১৪টি৷ তাই উখিয়ায় পশুর কোনো সংকট নেই; বরং চাহিদার তুলনায় পাঁচ হাজার বেশি গবাদিপশু রয়েছে।
উখিয়া প্রশাসন সুত্রে জানা যায়, উখিয়া বাজার ও মরিচ্যা হাট স্থায়ী হলেও কোর্টবাজার, সোনার পাড়া, ইনানী, মরিচ্যা, কুতুপালং, থাইংখালী ও পালংখালীসহ অস্থায়ী হাট আছে আটটি-যা কোরবানির পশুর হাট হিসেবে অনুমোদন পেয়েছে।
উখিয়া নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের টিভি টাওয়ার সংলগ্ন অস্থায়ী পশুর হাট অত্র এলাকায় খুবই গুরুত্বপুর্ণ হাট হিসেবে পরিগণিত হয়ে আছে। কারণ পশু চোরাকারবারিদের প্রথম পছন্দ সীমান্তসংলগ্ন এই পশুর হাট। মিয়ানমার থেকে হাজার হাজার পশু সীমান্ত অতিক্রম করে সোজা সীমান্তবর্তী অস্থায়ী পশুরহাটে নিয়ে আসা সম্ভব। পরে সেখান থেকে চাহিদানুযায়ী ট্রাকে করে জেলা ও বিভাগীয় বিভিন্ন শহরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকা উখিয়া নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের বালুখালী, তুমব্রু, আজুখাইয়া, হাতিমোরা, ডেইলপারা, করইবনিয়া, লম্বাঘোনা হয়ে মিয়ানমারের পশু অবাধে বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করতে সুযোগপ্রাপ্ত হওয়ায় উখিয়া টেকনাফের চাহিদা পূরণ করে কক্সবাজারের বিভিন্ন হাটে পশু সরবরাহ যেমন করছে তেমনি জেলার বাইরেও বিভিন্ন পশুর হাটে পশু সরবরাহ প্রক্রিয়া চোখে পড়ার মতো।
তাছাড়া, নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্তবর্তী কালাচাইন্দা, বাম হাতিরছরা, ফুলতলী, ভালুখাইয়া পয়েন্টগুলোতেও সক্রিয় চোরাকারবারিরা। মূলহোতা প্রভাবশালী কয়েকজন হলেও তাদের নেতৃত্বে রয়েছে শতাধিক সদস্য। যারা প্রতিদিনই শত শত মিয়ানমারের গরু-মহিষ ও ছাগল সীমান্তে দিয়ে অবাধে নিয়ে আসছে। আর মজুত করছে নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু, আজুখাইয়া, সোনাইছড়ি, চাকঢালা, ফাত্রাজিরি, উখিয়ার কুতুপালং, মাছকারিয়া, টিভি টাওয়ার, বালুখালী, লম্বাঘোনা, হাতিমোরা, টাই পালং, করইবনিয়া, চাকবৈঠা, গয়ালমারা এলাকায় পশুগুলো হাত বদল হয়ে ট্রাকে তুলে কক্সবাজার সদর, রামু, ঈদগাঁও, ঈদগড় ও চকরিয়াসহ জেলা ও বিভাগের বিভিন্ন বাজারে প্রেরণ করা হচ্ছে।
হাটের আয়োজক ও গরু ব্যাপারীরা ধারণা করছেন শুক্রবার থেকে পশু কেনা-বেচা বেড়েছে। তবে গতকাল থেকে সেটা পুরোদমে চলছপ। উখিয়া সদর হাট ইজারাদার রহিম ও টিভি টাওয়ার অস্থায়ী হাট ইজারাদার সৈয়েদুল বশর এর সাথে কথা বলে জানা যায়, এখনো পর্যাপ্ত পশু হাটে আসেনি। অল্প স্বল্প কেনাবেচা শুরু হলেও সেটি সন্তোষজনক নয়। আমরা আশা করছি গতকাল থেকেই হাটে বেচাকেনা পুরোদমে শুরু হয়েছে।
স্থানীয় গনমাধ্যম কর্মী আনিস বলেন, ‘মিয়ানমারের গরু সীমান্ত এলাকায় সয়লাব হলেও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কড়া নজরদারির পরেও কিভাবে হাজার হাজার পশু সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে? এ পর্যন্ত একটি গরু বা মহিষ নিলামে উঠেনি। এটার রহস্য কী? শষ্যের ভিতর ভুত থাকলে সেই ভুত তাড়াবে কে? কেন হাজার হাজার পশু সীমান্ত অতিক্রম করে অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ ঘটবে? এসব অবৈধ পশু অনুপ্রবেশের কারণে একদিকে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব ও অন্যদিকে দেশীয় খামারীরা তাদের ন্যায্য মুল্য না পেয়ে চরম অনিশ্চয়তায় ভুগছে’।
স্থানীয় জনৈক ষাটোর্ধ রহমান বলেন, “উখিয়ার হাটে গরু কেনাবেচা শুরু হয় ঈদের দু-একদিন আগ থেকে। এনজিও ও নানা প্রতিষ্টান থেকে প্রতিবছর ( প্রায় ১৪ লক্ষ ) রোহিঙ্গা জনগোষ্টীকে শত শত কোরবানি পশু বিতরণ করা হয়। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গরু রাখার মতো পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। তাই কোরবানের আগেরবদিন প্রচুর পরিমাণে গরু বিক্রি হয়ে থাকে”।
উখিয়া সদর বাজারের পশু বিক্রেতা জনৈক কাশেম বলেন, “ভোগ্যপণ্যের বাজারে দাম বাড়েনি এমন কোন পণ্য নেই। এর জন্য দেশের মানুষের কষ্টের সীমাও নেই। কেউ খাবার কমাচ্ছেন, কেউ মাছ-মাংস ছেড়ে শাকসবজি খাচ্ছেন। মানুষ না হয় একটি পণ্য ছেড়ে অন্যটি খেয়ে কিছুটা সাশ্রয় করছেন। কিন্তু অবলা প্রাণী বা গৃহপালিত পশু তো আর সাশ্রয় বুঝেনা। বা তার যা খাবার তার বাইরেও অন্য কিছু খাওয়ানো যায় না। তাকে তার খাবার দিতেই হয়। কিন্ত্র সম্প্রতি পশু খাদ্যেরও দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক। এ জন্য খামারি এবং সারা দেশের কৃষক পড়েছেন আরেক বিপাকে। পশুপালন করা এখন তাদের কাছে দুরুহ হয়ে পড়েছে। খাদ্যের দাম বৃদ্ধি ও পশুখাদ্যের সঙ্কটের কারণে কেউ কেউ পশু বিক্রি করে দিচ্ছেন”।
টেকনাফ সাবরাং থেকে গরু নিয়ে এসেছেন ঈসমাইল। তিনি বলেন, ‘ চোরাই পথে গরু আসায় সংকটের মুখে পড়েছেন তার মতো অনেক খামারি। স্থানীয় রত্নাপালং ইউনিয়নের ভালুকিয়া পালং এলাকার মোহাম্মদ নুরুল আলম বলেন, গরুটি নাইক্ষ্যংছড়ির পাঁচটি ইউনিয়ন ও কক্সবাজারের রামু, গর্জনিয়া, কচ্ছপিয়া ও ঈদগড়ের খামারিরা অত্যন্ত দুঃখের সাথে অত্র প্রতিবেদককে জানান, উখিয়া-টেকনাফে প্রচুর পরিমানে চোরাই গরু আসায় দেশি গরুর দাম কমে গেছে। আমরা ঘরোয়াভাবে গরু মহিষ লালন পালন করে থাকি। কোনো ধরনের ওষুধ আমি নিইনি। গরুকে খাইয়েছি ভুট্রার গুঁড়ো, গমের ভূসি, খুদের ভাত আর কাঁচা ঘাস। আমরা পশুর চাহিদা মতো দাম না পেলে বিক্রি করবো না। গত একবছর যাবত আমরা আমাদের খামারে পশুগুলো লালনপালন করেছি। বিভিন্ন হাট-বাজারে পশু তুলেছিলাম কিন্তু কিছু পশু বিক্রি করলেও চাহিদা মতো দাম না পাওয়ায় বেশিরভাগ পশু বিক্রি করিনি। সারা বছরে কোরবানির ঈদকে উপলক্ষ করে আমরা পশু লালন করে থাকি। আমরা পশু বিক্রি করে কিছু লাভ না পেলে পশুগুলো বিক্তি করবনা’।
হলদিয়া পালং ইউনিয়নের জনৈক খামারী ইদ্রিস অত্র প্রতিবেদককে বলেন-‘যতরাত গভীর হয়, গরু আসার পরিমান তত বেশি হয়। অবাধে পার্শ্ববর্তী দেশের গরু-মহিষ আসাতে আমরা খামারিরা খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। অন্যদিকে মিয়ানমারের গরুগুলো সম্পূর্ণ রোগাগ্রস্থ। ফলে সেসব গরু যেমন ইচ্ছা কম দামে বিক্রি করতে পারে। মিয়ানমারের গরু আসাতে আমরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। খামার করতে বিভিন্ন সময় ব্যাংক লোন নিয়েছি। পশু পালন করতে আমাদের যা খরচ হয়েছে, মিয়ানমারের পশুর কারণে আমরা খরচ পুষিয়ে তুলতে পারছিনা। অন্যদিকে আমরা বিভিন্ন সময়ে ব্যাংক থেকে নেওয়া লোন শোধ করতে পারছি না”।
উখিয়া ছয়তারা এগ্রো ফার্মের পরিচালক রিয়াজ কবির বলেন, ‘ মিয়ানমারের অবৈধ অনুপ্রবেশকৃত পশুর কারণে আমরা বাজারে পশুর ন্যায্য মুল্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। গরুর খাবারের দাম বেশি কিন্তু আমরা গরুর ন্যায্য মূল্যও পাচ্ছি না। বিভিন্নভাবে চোরাকারবারিরা সিন্ডিকেট করে, প্রশাসনকে ম্যানেজ করে পশুগুলো নিয়ে আসে এবং পশুগুলো আনার পরে তারা বিভিন্ন যায়গা দিয়ে, বিভিন্ন পথে নিয়ে যায়। গরুগুলো উখিয়া, নাইক্ষ্যংছড়ি, রামু, চকরিয়া, ঈদগাহ্ এবং গর্জনিয়া বাজারেও বিক্রি হয়। গরুগুলো গভীর রাতে নিয়ে যাবার সময় অনেক ধরণের ঘটনা ঘটে। সাধারণ মানুষ যদি এসব গরু আনা নিয়ে কোনো প্রশ্ন করে তখন তাদের উপর হামলা এবং খুনের হুমকি পর্যন্ত দেয়া হয়। এটা যদি দ্রুত বন্ধ করা না হয়, তাহলে আমাদের গ্রামের পরিবেশ দিন দিন খুবই খারাপের দিকে চলে যাবে। তাই সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ থাকবে, যেনো অবৈধভাবে মিয়ানমার থেকে গরু প্রবেশ বন্ধ করা হয়’।
অত্র প্রতিবেদক সরেজমিনে উপজেলার কয়েকটি পশুর হাট পরিদর্শন করে দেখতে পায়— বড়, মাঝারি ও ছোট আকারের গরু, মহিষ, ছাগল বেচাকেনার জন্য হাটে তোলা হয়েছে।
সাইফুল ইসলামের নামের আরেকজন বিক্রেতা ১০টি গরু নিয়ে এসেছিলেন; এর মধ্যে পাঁচটি গরু বিক্রি করেছেন। বিক্রিত পাঁচটির মধ্যে বড় দুইটি বিক্রি করেছেন তিন লাখ ৭০ হাজার টাকায়, অপর তিনটি বিক্রি করেছেন এক লাখ ৪০ হাজার টাকায়।
গরু ব্যবসায়ী সাইফুল উখিয়া গরু বাজারে আপাতত অবস্থা দেখতে এসেছেন পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন রত্নপালংয়ের ভালুকিয়া থেকে।
তিনি বলেন, তার বাড়িতে তিনটি গরু আছে। অনেকে তিনটি গরু চার লাখ টাকায় চেয়েছেন। তবে তাতে রাজি হননি কবির আহমদ। সাড়ে চার লাখ টাকা দিলে তার গরু তিনটি বিক্রি করবেন তিনি। তিনটি গরুর মোট ওজন প্রায় ১৪ মন হবে বলে জানান।
দেখা গেছে, উখিয়া গরু বাজারস্থ পশুর হাটে মাইক দিয়ে বলা হচ্ছে— রশিদ ছাড়া যেন কেউ পশু না কেনে। রশিদ ছাড়া কারও কাছে পশু পাওয়া গেলে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। হাটের ইজারাদারেরা হাসিল হিসেবে বিক্রেতার কাছে এক হাজার দুইশো ও ক্রেতার কাছ থেকে পাঁচশো টাকা করে নিচ্ছেন।
উখিয়া গরু বাজারের পরিচালক আব্দুর রহিম বলেন, পশু নিয়ে বিক্রেতারা হাটে আসা শুরু করেছে। সমানে ক্রেতার সংখ্যাও বাড়ছে। তবে হাটে তোলা পশু আর আগত ক্রেতা অনুযায়ী সেভাবে পশু বিক্রি হচ্ছে না এখনো। কক্সবাজার, রামু, খরুলিয়া, হ্নীলাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতারা পশু দেখতে আসছেন।
তিনি বলেন, হাটে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। জালনোট প্রতিরোধের জন্য ব্যবস্থা রয়েছে। ঈদের আগে শনি-রোববার পর্যন্ত বাজার চলবে বলে জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs