স্টাফ রিপোর্টারঃ
চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাটস্হ এলাকার বসতভিটার গাছ কাটা নিয়ে তুমুল দ্বন্ধ।উক্ত জায়গার দাবিদার মালিক দুইজন।এ নিয়ে বন্দোবস্তি পাওয়া মালিকের পক্ষে থানায় অভিযোগ।
গত ২১ এপ্রিল ডুলাহাজারা ইউপির ৩নং ওয়ার্ডের চা-বাগান-মৌলভীকাটা গ্রামের দ্বন্ধকৃত জায়গাটির মালিক মৃত আবুল হোসেনের পুত্র মাহাবুল আলম (৩৮) বাদী হয়ে ৪জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগকারী মাহাবুল জানান,আমার পিতা মৃত আবুল হোসেনের নামে বন্দোবস্তি মামলা ৩২০/১৯৭৭-৭৮ইং মূলে রিংভং মৌজার বন্দোবস্তি খতিয়ান নং-১১৭ এর ২০৮,২১১,২২২/৫দাগের আন্দর বাড়ীভিটার জমি ১.৫০একর জমি প্রাপ্ত হই।হঠাৎ গত ১৬এপ্রিল রাত আনুমানিক ১০টার সময় আমার অভিযুক্ত ব্যক্তি একই এলাকার মৃত মোঃ হোছাইনের পুত্র শামসুল আলমগংরা দলবদ্ধ হয়ে আমার বসতভিটা দখল নিতে,আমার আঙ্গিনায় এসে অশ্লীল গালি-গালাজ সহ হুমকি প্রদর্শন করেন।পরে যে কথার,সে কাজ, আমার বসতভিটার বড়-বড় কয়েকটি আম গাছ কেটে ফেলে।ফলে থানায় অভিযোগ দিয়ে প্রতিকার না পাওয়ায়,চকরিয়া-পেকুয়া আসনের এমপি আলহাজ্ব জাফর আলম মহোদয়ের সহযোগিতা নিয়ে কাটা গাছ সহ বাকী গাছগুলো পূর্ণরায় ২৫এপ্রিল থানা পুলিশ আসলে রক্ষা পায়।আমার পিতার প্রাপ্ত জমির খাজনা প্রতি বছর-বছর আদায় করে আসছি।তবে আমার জনবল,আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী না হওয়া কোন প্রকার জবর দখলদারদের হাত রক্ষা পাচ্ছি না।সুতরাং এমপি মহোদয় দুইপক্ষের ডকুমেন্ট দেখে পর্যালোচনা মাধ্যমে যে রায় দিবে,আমি তা মেনে নিব বলে জানিয়েছেন।
প্রতিপক্ষ শামসুল আলম জানান,আমার পিতা মৃত মোঃ হোছাইন বিগত ১৯৭৬ সালের ২৩শে মে এগ্রিমেন্টনামা মূলে আবুল হোসেনের নামে কিছু জায়গা বন্দোবস্তি নিয়েছিলেন।তার মৃত্যূর পরে তার ওয়ারিশরা এগ্রিমেন্টনামা মূলে জায়গা না দেওয়ায়,এবিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে বন্দোবস্তি বায়েজিয়াপ্ত করে,আমাদের নামে করার পিটিশন দাখিল করি।বর্তমানে জায়গাটির লিজটি বায়েজিয়াপ্ত করে দিয়েছে।তবে লিজের শুরু থেকে জায়গাটিতে আমরা দখলে আছি।এখন লিজ বায়েজিয়াপ্ত জায়গাটি আমাদের দখল থেকে উচ্ছেদ করতে পায়তারা শুরু করেছে।তাছাড়া আমাদের দখলে থাকা জায়গাতে আমাদের রোপিত গাছ, আমরা কাটায় মাহাবুল নানান তাল বাহানা শুরু করেছে।
এবিষয়ে ঘটনাস্হলে আসা চকরিয়া থানার মনজুরুল বলেন,গাছ কাটার বিষয়ে আপনাদের উভয় পক্ষে রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের আশংকা বিদ্যামান।সুতরাং গাছ কাটা বন্ধ থাকার নির্দেশটি এমপি মহোদয়ের।আপনার দুই গ্রুপই এমপি মহোদয়ের কাছে যান।যতক্ষণ এমপি মহোদয় বিচার ফায়সালা না দিবেন।ততক্ষণ কেউ এই জায়গাতে কোন কাজ করবেনা না,করলে আইনগত ব্যবস্হা নেওয়া হবে।কারণ এমপি মহোদয় এবিষয়ে ওসি স্যারকে এ নির্দেশ দেওয়াতে ঘটনাস্হলে আমার আসা।