কাইছারুল ইসলাম, মহেশখালী প্রতিনিধি
দীর্ঘ ৯ বছর পর অনেক সমালোচনার মুখে মহেশখালীর মাতারবাড়ী মজিদিয়া মাদ্রাসার গভর্নিং বডি’র অভিভাবক সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৮ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) এ ভোট অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল থেকে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল অনেক। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে ও অনেকে ভোট দিতে পারেনি বলে অভিযোগ ওঠেছে।
তাদের মধ্যে আব্দুর রহিম বলেন, আমি অনেক কষ্ট করে ভোট দিতে এসেছি। ভোট দিতে কেন্দ্রে গিয়ে দেখি আমার ভোট হয়ে গেছে। জিজ্ঞেস করলে বলেন, আমার ভোট অন্য জনে দিয়ে দিছে।
ফরিদুল আলম নামে একজন বলেন, আমার মেয়ে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। আমার সব ঠিক আছে। কিন্তু কেন্দ্রে এসে দেখি আমার ভোট অন্যজনে দিয়ে দিয়েছে।
সরজমিনে দেখা গেছে, ঘন্টার পর ঘন্টা অনেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ও ভোট দিতে পারেনি। কেন্দ্রের ভিতরে চলছে প্রার্থীদের মাঝে ভোটার নিয়ে টানাটানি। অনেকে ভোট দিতে না পেরে হতাশা প্রকাশ করছেন। ক্ষোভ প্রকাশ করে বলতেছেন, আমার সন্তান আর এখানে পড়াব না। অনেকে এসেছেন জাল ভোট দিতে। জাল ভোট দিতে আসায় সন্দেহ হলে অনেককে লাইন থেকে ও বাহির করে দিয়েছেন প্রিসাইডিং অফিসার। অন্যদিকে আলিম বিভাগের ফলাফল নিয়ে দেখা দিয়েছে সমালোচনা।
জানা গেছে, মাদ্রাসার আলিম শাখায় মোট ভোটার রয়েছেন ৮০ জন। এর মধ্যে মৃত ভোটার রয়েছেন ১০ জন এবং প্রবাসে আছেন ৫ জন। সে হিসেবে মোট ভোটার থাকে ৬৫ জন।
অভিযোগ এনে আলিম শাখার অভিভাবক সদস্য পদে প্রার্থী আকতার হোছাইন বলেন, ভোটার ৮০ জন হলেও এর মধ্যে মৃত ভোটার ১০ জন এবং প্রবাসে রয়েছে ৫ জন। সে হিসেবে বর্তমানে ভোটার রয়েছেন ৬৫ জন। কিন্তু ভোট দিয়েছেন ৭৫ জন। তাহলে বাকি ভোট কোথায় থেকে এলো?
অভিভাবকরা সমালোচনা করে বলেন, এই নির্বাচনে ও জাল ভোটের ছড়াছড়ি। কি মধু আছে এমন সব পদবীতে। অভিযোগ এসেছে, মাদ্রাসার অনেক শিক্ষক ফোনে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য বলে দিয়েছেন। এ নিয়ে অনেক প্রার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
নির্বাচনের প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালনকারি ফজলুল কাদের বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হইছে। কোন সমস্যা হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ নাছির উদ্দীন বলেন, নির্বাচন সম্পর্কে আমি অবগত নয়। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে কেউ অভিযোগ করলে আইন অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিব।