এম.এ.কে.রানা,মহেশখালী:
দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে দীর্ঘদিনের অবহেলিত দক্ষিণ মগডেইল হতে মাতারবাড়ী কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প সড়কটির বর্তমান চিত্র খুবই বেহাল। প্রতিদিন চলাচলে হাজারো মানুষের প্রহাতে হচ্ছে চরম দূর্ভোগ। সড়কটি বেশ কয়েক বছর যাবত এ অবস্থায় পরে থাকার কারণে কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প ও হাঁট-বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতরত মানুষের চরমদূর্ভোগ পোহাতে দেখা যায়।
এলাকাবাসীর দূর্ভোগ দেখে নিজস্ব অর্থায়নে সড়কটি সংস্কার করে দিলেন মহেশখালী উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবু ছালেহ।
রবিবার (৭ জুলাই) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ মগডেইল হতে মাতারবাড়ী কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প সড়ক পর্যন্ত বালি-ইটের খোয়া ও শ্রমিক দিয়ে নিজেই দাঁড়িয়ে থেকে সড়কটি সংস্কার করতে দেখা যায়।
সূত্রে জানা যায়, এখানে দেশের সর্ববৃহত্তর কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র, গভীর সমুদ্র বন্দর ও অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলা হচ্ছে। সরকারি বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। মাতারবাড়ী ও প্রকল্পের হাজারো মানুষের বিভিন্ন কাজেকর্মে প্রতিদিন এই সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। একটু বৃষ্টিতে সড়কটি আরো বেহাল ও চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। সড়কটির বেহাল দশার কারণে টমটম, সিএনজি গাড়িসহ কোন যানবাহন চলাচলের মতো পরিস্থিতি নেই বল্লেই চলে। কাঁদা মাটি থাকায় সাধারণ মানুষ ও প্রকল্পের চাকরিরত শ্রমিকরা হেঁটেও যেতে পারেনা।
সড়কটির নিয়মিত পথচারী আরফাত বলেন, নির্বাচন এলেই প্রার্থীরা এসে রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দেন। ভোট হয়ে গেলে সব ভুলে যায়। এলাকাবাসীর দূর্ভোগের কথা চিন্তা করে রাস্তাটি সংস্কার করে দেওয়ার জন্য ভাইস চেয়ারম্যান আবু ছালেহকে সাধুবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
এবিষয়ে ভাইস চেয়ারম্যান আবু ছালেহ’র কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন চলাচলে হাজারো মানুষের প্রহাতে হচ্ছে চরম দূর্ভোগ। একটু বৃষ্টিতে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। প্রতিনিয়ত দেখে আসছি সড়কটি দিয়ে চলাচল করতে মানুষের কষ্ট হয়। আমি নির্বাচিত হওয়ার পর এখনো কোন সরকারি কোন বাজেট পায়নি। এলাকাবাসীর দূর্ভোগ দেখে নিজস্ব অর্থায়নে সড়কটি বালি ও ইটের খোয়া দিয়ে সংস্কার করে দিচ্ছি।