এম.এ.কে.রানা, মহেশখালী:
সামাজিক ও মানবিক কাজের জন্য মহেশখালী সন্তান, অস্ট্রেলিয়ান প্রবাসী ফয়সাল আমিনকে সংবর্ধনা দিয়েছে মাতারবাড়ির ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইসলামিয়া আজিজিয়া কাসেমুল উলুম মাদ্রাসা কতৃপক্ষ।
৯ নভেম্বর সকাল ১০ টায় ফয়সাল আমিনের গাড়ি মাতারবাড়ি ইউনিয়নে ঢুকতে না ডুকতে হাজারো ছাত্র ছাত্রী ও অভিবাসীদের খুশিতে আত্মহারা। যেন হাতের কাছে মনি মুক্তার ধন।হাজারো মানুষের মিছিল সহকারে বরণ করে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নিয়ে যায় মানবিক ও সমাজসেবক অস্ট্রেলিয়ান প্রবাসী ফয়সাল আমিনকে।
উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে- মুহতারাম মাওলানা সালেহ আহমদ এর সভাপতিত্বে ও মাওলানা আহালুল্লাহর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- অস্ট্রেলিয়ান প্রবাসী ফয়সাল আমিন।
বক্তব্যকালে ফয়সাল আমিন বলেন- আমি মাধ্যমিক শেষ করে ঢাকায় গেয়ে সাত দিন বই বিক্রি করি। তাতে ৭ হাজার টাকা বেতন পাই। ওই টাকা দিয়েও জন্মভূমি মহেশখালীর সাতজন আলমের জন্য ঈদের কাপড় নিয়ে আসি। সেই ছোট্ট কাল থেকেই মানুষের পাশে থাকা এবং ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাজ করে যাওয়ার ইচ্ছা। বক্তব্যের একপর্যায়ে তিনি- আজিজিয়া মাদ্রাসার উন্নয়ন কার্যক্রমের প্রশংসা করেন এবং শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষায় অগ্রগতির জন্য তার অনুপ্রেরণামূলক কথা তুলে ধরেন। তিনি মাদ্রাসার দ্বিতীয় তলার ছাদ নির্মাণ সম্পূর্ণ করার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে চার লাখ টাকা অনুদান প্রদানের ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি জানান, ভবিষ্যতেও এই মাদ্রাসার উন্নয়নের জন্য তার সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন – নাইবে মহতরাম মাওলানা সোহাইলুল কাদের, শিক্ষা পরিচালক হাফেজ মাওলানা হানিফ, মাও আশরাফ আলী, মাও মুক্তার, মাও আবু তৈয়ব ও সংবাদ কর্মী ফারুক আজম,তাহাসিন,আলতাফ ও হাফেজ মুচাসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও শিক্ষকবৃন্দ এবং ছাত্র-ছাত্রীরা।
এই সময় মাতারবাড়ির আমজানতা ফয়সাল আমিনের এই উদারতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং মাদ্রাসার উন্নয়নে তার অব্যাহত সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি উৎসাহ যোগায়। এই উদ্যোগে ফয়সাল আমিনের অবদানের প্রশংসা করে মাদ্রাসার প্রধান বলেন, “সমাজের প্রত্যেক মানুষের উচিত ধর্মীয় শিক্ষার উন্নয়নে এগিয়ে আসা। ফয়সাল আমিনের এই মহৎ সহায়তা আমাদের উন্নয়নের পথ সুগম করবে।”
উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শেষে মাতারবাড়িতে আগুনে পুড়ে যাওয়া অসহায় পরিবারের কাছে ছুটে যান এবং শেষে মগডেইল ইউনূছিয়া ফয়জুল উলূম মাদ্রাসা হেফজখানা ও এতিমখানার উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ শুরু করার জন্য পরিদর্শন করেন।