এম.এ.কে.রানা,মহেশখালী::
মানুষের জীবনে পিতামাতার পরই শিক্ষকের অবস্থান। এবার সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধেই দুই ছাত্রকে জোর করে বলৎকারের অভিযোগ উঠেছে। এমন জঘন্যতম ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্তিতি বিরাজ করছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক মাওলানা জিয়াবুল লাপাত্তা হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
রবিবার (১৯ মে) উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড মগডেইল-হংসমিয়ার পাড়া সড়ক এলাকায় অবস্থিত তাহফিজুল কুরআন মডেল হিফয্ নামক মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত জিয়াবুল স্থানীয় পুতুন আলীর ছেলে বলে জানা যায়।
জানা যায়, কয়েকদিন ধরে ওই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিশু শিক্ষার্থীদের নানাভাবে যৌন হয়রানির চেষ্টা করে আসছিলেন শিক্ষক জিয়াবুল। সর্বশেষ ১৮ মে রাতে সকল শিক্ষার্থী ঘুমিয়ে পড়লে ১২ বছর এবং ১০ বছর বয়সী ওই শিশুদেরকে শিক্ষক জিয়াবুল তার শোবার রুমে ডেকে নিয়ে তাদের হাত মুখ বেধে লজ্জাস্থানে হাত দেয়। পরে ঐ ছাত্রদের জোরপূর্বক বলৎকার করে।
পরদিন ওই ছাত্ররা অসুস্থ হলে, অসুস্থতার কারণ খুঁজতে গিয়ে তাদের পরিবারের কাছে বিষয়টি তারা স্বীকার করে।ততক্ষণে শিক্ষক জিয়াবুল লাপাত্তা হয়ে যায়।
সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, মগডেইল এর উত্তর মাথায় একটি ভবন ভাড়া নিয়ে তাহফিজুল কুরআন মডেল হিফয্ নামক মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন জিয়াবুল। প্রতিষ্ঠার অল্পদিনের মাথায় এই ন্যাক্কার জনক ঘটনা ঘটায় ঐ শিক্ষক। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে জিয়াবুলকে খুঁজতে প্রতিষ্ঠানের আশেপাশে এলাকাবাসীদের ভিড় করতে দেখা যায়। অভিযুক্ত জিয়াবুলকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তির দাবি তুলেন এলাকাবাসী।
ভুক্তভোগী এক শিশুর সাথে কথা বলে সে তার জঘন্যতম কর্মকাণ্ডের বিবরণ করেন।শিশুটি জানায়,রাত যখন ৩ টা বাজে তখন হুজুর আমাকে ডেকে তুলে মুখ হাত দিয়ে চেপে ধরে হাত বেঁধে পেলে।তারপর আমাকে খারাপ কাজ করার চেষ্টা করে।আমাকে অনেক চেঁচামেচি করলেও হুজুর আমাকে ছেড়ে দেয়নি।আমাকে খারাপ কাজগুলো করে পেলে।খারাপ কাজ করার পর গোসল করে পড়তে বলে।
এদিকে বিষয়টি জানতে তাদের পরিবারে গেলে এক শিশুর পিতা জানান,আমার ছেলে বাসায় এসে হঠাৎ মাদরাসায় যাবেনা বলে জানিয়ে দেয়,কিন্তু কেন যাবেনা জানতে চাইলে সে কান্না করে হুজুরের এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার বর্ণনা দেন। এসব শুনে শিশুটির বাবা-মা ৯৯৯ এ কল দিলে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে বলার পরামর্শ দেন। পরবর্তীতে সাবেক এক ইউপি সদস্যের সমাধানের আশ্বাসে তারা চলে আসেন এবং আইনি ব্যবস্থা নিবে বলে জানান।
আশ্বাস দেওয়া সাবেক ইউপি সদস্যের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,আমি যখন ঘটনাস্থলে যায় তখন থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করে, আমি পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য উভয়কে বিচারের জন্য আশ্বস্ত করি।
এ বিষয়ে জানতে মাতারবাড়ী পুলিশ ক্যাম্পের এস আই ইমরান খান জানান,বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি ।অভিযুক্ত পরিবার থানায় এজাহার দায়ের করলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিব।