নিহত নাজমুল হাসান মহেশখালী পৌরসভা এলাকার ঘোনারপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ ফেরদৌস মাঝির ছেলে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে একটি নৌযানে লবণ বোঝাই করতে ওই তরুণ ঘর থেকে বের হয়েছিলেন। পরে তাঁর পরিবারকে জানানো হয়, কাজ করার একপর্যায়ে নৌযান থেকে পানিতে পড়ে রাত ১১টার দিকে নিখোঁজ হন নাজমুল।
নাজমুল হাসানের বাবা মোহাম্মদ ফেরদৌস মাঝি জানান, তিনি জেনেছেন রাতে ওই নৌযানে থাকা অন্য শ্রমিকেরা তাঁর ছেলেকে মারধর করেন। মারধরের সময় সাগরের পানিতে ডুবে তাঁর ছেলের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।
নৌযানে মালিক মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, রাতে তিনজন শ্রমিক নিয়ে কুতুবজোম ইউনিয়নের তাজিয়াকাটা খালে তাঁর নৌযানটি লবণ বোঝাই করতে নেওয়া হয়। সেখানে নৌযানটি নোঙর করার জন্য রশি বাঁধার একপর্যায়ে নাজমুল পানিতে পড়ে নিখোঁজ হন। রাতে তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়নি। আজ সকালে লাশটি সাগরে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া গেছে। মারধরের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ অভিযোগ সত্য নয়। তাঁকে কেউ মারধর করেনি।
এবিষয়ে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ কাইছার হামিদ বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় নিহত নাজমুলের চোখে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। লাশের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।