এ.কে.রিফাত-মহেশখালী
বলছিলাম মহেশখালী পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মকছুদ মিয়া ও তার কনিষ্ট পুত্র আবরারুল হকের কথা।মকছুদ মিয়া মহেশখালী পৌরসভার টানা তিনবারের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন এবং তার পুত্র আবরারুল হক তার জীবনে ৩য় বারের মত জিপিএ পাইভ পেয়েছেন। খোজ নিয়ে জানা যায়,সদ্য প্রকাশিত ২০২১ শিক্ষাবর্ষের এইচএসসি পরীক্ষায় ঢাকা সিটি কলেজ হতে জিপিএ পাইভ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন মহেশখালী পৌরসভার টানা তিনবারের মেয়র আলহাজ্ব মকছুদ মিয়ার কনিষ্ট পুত্র আবরারুল হক।এ নিয়ে শিক্ষাজীবনে টানা তিনবার জিপিএ পাইভ অর্জন করল মেয়রপুত্র আবরারুল হক। আবরারুল হক ২০০২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী মহেশখালী পৌরসভার গোরকঘাটা সিকদার পাড়ার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।তার পিতা মহেশখালী পৌরসভার বর্তমান মেয়র আলহাজ্ব মকছুদ মিয়া এবং মাতা কক্সবাজার জেলার শ্রেষ্ট মহিলা করদাতা সারজিনা আক্তার। পরিবার সুত্রে জানা যায়,আবরারুল হক ২০০৮ সালে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে প্রথম শ্রেনীতে ভর্তি হয়ে ২০১৩ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয় ল্যাভেল শেষ করেন।পরে সে ২০১৩ সালে কক্সবাজার সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ২০১৬ শিক্ষাবর্ষের জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ফাইভ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।একই স্কুল থেকে ২০১৮ শিক্ষাবর্ষের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ফাইভ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়ে ঢাকা সিটি কলেজে এইচএসসি পর্যায়ের পড়াশুনা শুরু করে সবশেষে সদ্য প্রকাশিত ২০২১ শিক্ষাবর্ষের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে জিপিএ ফাইভ পেয়ে নিজের শিক্ষাজীবনে জিপিএ পাইভ এ হ্যাট্রিক করেন মেয়র পুত্র আবরারুল হক। অপরদিকে আবরারুল হকের পিতা আলহাজ্ব মকছুদ মিয়া মেয়র পদে ২০১১ সালে সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিপুল পরিমান ভোট পেয়ে প্রথমবারের মত মেয়র নির্বাচিত হয়।পরবর্তীতে ২০১৬ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে মেয়র পদে নির্বাচন করেন এবং ২য় বারের মত নিরংকুশভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়।সবশেষে ২০২১ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে মেয়র পদে নির্বাচন করেন এবং তুলনামূলক ভোট পেয়ে মেয়র পদে হ্যাট্রিক জয় লাভ করেন। আবরারুল হকের জিপিএ ফাইভ এ হ্যাট্রিকের বিষয়ে তার পিতা মেয়র আলহাজ্ব মকছুদ মিয়া ও মাতা সারজিনা আক্তার জানান, আমাদের সন্তানের জিপিএ ফাইভ এ হ্যাট্রিক করায় প্রথমেই মহান রাব্বুল আলামীনের কাছে শুকরিয়া আদায় করছি এবং কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল স্কুল,কক্সবাজার সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়,ঢাকা সিটি কলেজের শ্রদ্ধেয় সকল শিক্ষক শিক্ষিকাবৃন্দদের প্রতি চির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সেই সাথে যারা আমাদের সন্তানের জন্য দোয়া করেছেন তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এছাড়া তারা আরও বলেন, আমাদের সন্তানের জন্য আপনারা সকলেই একটু দোয়া করবেন যাতে তারা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ বিদেশে ছূটে চলার মধ্য দিয়ে সফলতা অর্জন করে জাতির পিতা বঙ্গন্ধুর সপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে একজন ক্ষুদ্র সৈনিক হতে পারে।এসময় তারা ২০২১ শিক্ষাবর্ষে এইচএসসিতে উত্তীর্ণ দেশের সকল ছাত্র ছাত্রীদেরকে উঞ্চ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান।