কাইছারুল ইসলাম (মহেশখালী প্রতিনিধি)।
কক্সবাজারের মহেশখালীতে পূর্ণিমার জোয়ারের কারণে বেড়িবাঁধ উপচে ও ভেঙ্গে জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। এতে প্লাবিত হয়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রাম,পানিতে ভাসল শত শত পরিবার। অতি বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩-৪ ফুট বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়িবাঁধ এলাকায় পানি ডুকে পড়ছে। এতে দূর্ভোগে পড়ছে ২০ হাজারো মানুষ। অনেকে বাঁধ রক্ষার জন্য বালির বস্তা দিচ্ছেন।আবার অনেকে নিজ বাড়ি র
গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, অস্বাভাবিকভাবে জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় বেড়িবাঁধের উপচে ও ভেঙ্গে মহেশখালীর মাতারবাড়ী-ধলঘাটা এলাকায় পানি ডুকে পড়েছে। অনেকের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এতে মানুষ তাদের ঘরবাড়ির গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র অন্যত্র সরিয়ে ফেলছে। দায় সারার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া জিওব্যাগ অনেক জায়গায় সাগরের পানিতে তলিয়ে যেতে দেখা গেছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, বায়ুচাপের তারতম্যের কারণে সমুদ্রে পানির উচ্চতা বেড়ে যায়। পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২-৩ ফুট বৃদ্ধি পাবে। উত্তর-দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে মেঘ মালায় তৈরি হচ্ছে। যার কারণে বৃষ্টি হচ্ছে। আরও ৫-৭ দিন বৃষ্টি থাকবে বলে জানিয়েছেন সহকারি আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ আবদুর রহমান।
যেকোনো মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে ঘর-বাড়ি, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, রাস্তা, মৎস্য ঘের, ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা পানিতে ডুবে যেতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা।
মাতারবাড়ী সাইট পাড়ার আবদুল মজিদ বলেন,
পুরো এলাকা জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে। কিছুদিন পর পর লোকদেখানোর জন্য জিও ব্যাগ দেওয়া হয়। জোয়ারের তীব্রতা বাড়লে আবারো সেগুলো জোয়ারের পানিতে বিপর্যস্ত হয়ে যায়। চরম দূর্ভোগে আছি আমরা,এই দুর্ভোগ দেখার মত কেউ নেই।
ধলঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান বলেন, বেড়িবাঁধ উপচে পানি ডুকে পড়ছে। এখনো ধলঘাটা অরক্ষিত, মানুষ আতঙ্কে আছেন।
মাতারবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জি.এম ছমি উদ্দীন বলেন, মাতারবাড়ী সমুদ্রের তীরবর্তী এলাকা থেকে মগনামা সাবমেরিন ক্যাবল প্রকল্পে জমি ভরাট করার জন্য বালি নিয়ে যাচ্ছে। ফলে সাগরের টেউ সরাসরি বেড়িবাঁধে পড়ে বেড়িবাঁধ আরো ভেঙে যাচ্ছে এবং কর্তৃপক্ষ বেড়িবাঁধ দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ না নেওয়ায় লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। তিনি টেকসই বেড়িবাঁধের জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।