পেকুয়া (কক্সবাজার)প্রতিনিধি
কক্সবাজারের পেকুয়ায় এক কলেজ ছাত্রী বাঁচার জন্য আকুল আবেদন জানিয়েছেন সবাইর কাছে। তাঁর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ২ লক্ষ টাকা। পায়ের লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ায় প্রায় পঙ্গু অবস্থায় ঢাকা সাভারের একটি পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
রুমি আক্তার। বয়স সবেমাত্র ২২ শে পা দিলো। ২০১৫ সালে পেকুয়া জিএমসি থেকে এসএসসি পাশ করে। বর্তমানে চট্টগ্রামের হাজ্বী মোহাম্মদ মহসিন কলেজে অধ্যয়নরত আছে। বাড়ি কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব গোঁয়াখালী এলাকায়। বাবার নাম শওকত হোসেন। পেশায় দিন মজুর। ইচ্ছে থাকলে সামর্থ নেই মেয়ের চিকিৎসা করানোর। জীবনের অনেকটাই এখনো বাকি। এখনো উপভোগ করতে পারেনি জীবনের অনেক কিছুই। তাহলে কি এভাবেই শেষ হয়ে যাবে রুমির জীবন? আমরা কি চাইলে পারিনা ২ লক্ষ টাকা সহযোগিতা দিয়ে রুমিকে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে আনতে?
বেশ কয়েক বছর আগে বাড়িতে কাজ করতে গিয়ে বাম পায়ের হাটুতে আঘাত পায় রুমি। এবং সেই সাথে তাঁর লিগামেন্ট ছিড়ে যায়। চিকিৎসকদের ভাষ্যমতে প্রপার চিকিৎসার অভাবে কোমরেে বামপাশের মালাটাও ডিমেস হয়ে গেছে। পঙ্গু হাসপাতাল থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে অতি দ্রুত অপারেশন করতে না পারলে স্থায়ীভাবে পঙ্গু হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও আছে। অপারেশন করাতে দরকার ২ লক্ষ টাকার। যা রুমির পরিবারের পক্ষে অসম্ভব।
ইতিমধ্যে পেকুয়াসহ বিভিন্ন সংগঠন থেকে ১লক্ষাধিক টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। দেওয়ার পথে আছে আরো অনেকেই। আমরা/আপনারা সবার যৌথ উদ্যোগে বেঁচে যেতে পারে একটি প্রাণ। রুমির চিকিৎসায় পেকুয়াসহ সকল শ্রেণির ও পেশার মানুষকে এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি।