জিয়াউল হক জিয়া:
কক্সবাজারে চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নে এল.জি.ডি কর্তৃক বরাদ্দ দেওয়া ৭৮১মিটার গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন কাজ চলছে ধীরগতিতে।যার ফলে বর্ষায় ভেস্তে যাচ্ছে সড়ক।এছাড়াও কাজের মান দেখে অসন্তুষ্ঠ স্হানীয়রা।
সরেজমিনে স্হানীয়রা জানান, খুটাখালী হাফেজখানা ও এতিমখানা থেকে হাজী পাড়ার সীমানা পর্যন্ত আর.এইচ.ডি সড়ক উন্নয়ন কাজের কার্যাদেশ পায় ঠিকাদার কনক।তিনি আবার সাব-ঠিকাদার দিয়ে ১৪জুলাই শুরু করেন।তবে কাজটির দৈর্ঘ্য,প্রস্হ কত ফুট এবং বাজেট কত,নেই কোন ফলক বা সাইনবোর্ড।কাজটির শুরুতে মাটি মিশ্রিত বালি ও নিন্মমানের কংকর ব্যবহারের করেছে।পরে রোলার গাড়ী দিয়ে চাপটিও ঠিক মত দেয়নি।তবে সড়কের পশ্চিম পাশে বাক্কুম পাড়ার ব্রীজ হতে দক্ষিণ দিকে ৫৭টি পিলিয়ার পুতাঁনো হয়েছে।কিন্তু বর্ষার ভারী বর্ষণে সড়কটি বিভিন্ন স্হানে ভেঙে গেছে।
এবিষয়ে ঠিকাদার কনক বলেন,খুটাখালীর উন্নয়ন কাজ চলমান সড়কটির দৈর্ঘ্য ৭৮১মিটার ও প্রস্হ-৩মিটার।প্রাপ্ত বাজেট থেকে সরকারী চার পারসেন্ট ভ্যাট কেটে নিয়ে থাকে ৬৭ লাখ টাকা।ওখান এই সড়কে থাকা ইটগুলোর জন্য অফিস বিল কেটে নিবে ২৪ লাখ টাকা।বাকী টাকা দিয়ে কাজ সম্পন্ন করতে হবে।এরমধ্য দুই-আড়াইশ গজ মত ছড়া এলাকা।আরার অন্যদিকে পিলিয়ার দিত হল।আর সড়কে বালি পরিবর্তে মাটিযুক্ত বালির অভিযোগ।আমি এক পার্টি থেকে বালি নিতে শুরু করলে,আরেক পার্টি বলে যে এটি লবণাক্ত বালি।আরেক জন বলে যে, মাটিযুক্ত বালি।এখন আমি কোথায় যাব।কারটা ধরবো।তবে কংকরের উপরে যদি আংশিক বা সামন্য মাটি মিশ্রিত বালি থাকে, তাহলে রোলার গাড়ীর চাপায় শক্ত বেশি হয়।এছাড়া রাস্তা থেকে ইট তুলে ফেলার পরে ইট চুরি হয়েছে,পিলিয়ার চুরি হয়েছে।ছোট কাজে ফলক দিতে হয় না।তাছাড়া আমি খুব বিবরত অবস্হায় পড়েছি।এই কাজটি আমি না নিতে চাই ছিলাম।এল.জি.ডি কক্সবাজার জেলার প্রধান অফিসার জোর করে কাজ আমাকে দিয়েই বিপদে ফেলে দিল।তাই একটু সময় বিলম্ব হল।বৃষ্টি শেষ হলে শুরু করব কাজ।
চকরিয়া উপজেলার এলজিডি কর্মকর্তা কমল কান্তি পাল বলেন,কাজটির শুরু থেকে আমি মনিটরিং ছিলাম।তেমন কোন অনিয়ম হয়নি।বর্ষার আগে কাজটি শুরু হয়।এখন বর্ষা শেষ হওয়া মাত্র দ্রুত সড়কটি কাজ করা হবে।