জিয়াউল হক জিয়া,চকরিয়া প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি গ্রামীণ সড়ক যেন মৃত্যুের ফাঁদে পরিণত হয়েছে।এতে ত্রিশ হাজার মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই,সাথে যানচলাচলও ব্যাহত রয়েছে। সরেজমিনে গেলে দেখা যায়,দৈংগাকাটা,মচইন্নাকাটা,আলমনগর(মাষ্টার আব্দুল হাই উচ্চ বিদ্যালয়) গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ সড়কের ভগ্নদশা।সড়কজুড়ে খানাখন্দকে ভরপুর।থ্রী হুইলার যানবাহন সহ মিনিট্রাক ও মোটরযান চলাচলও র্দূবিষহ হয়ে উঠেছে।যে সড়কগুলো দিয়ে যান-চলাচলতো দূরে কথা,ইউনিয়নে বসবাসরত সাধারণ জনগণের পা হেঁটে চলাও খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে।তবু সংসারে দায়ভার কাঁদে নিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ মেটাতে গিয়ে ছোট থ্রী হুইলার গাড়ী করে নিত্যনৈমেত্তিক মালামাল নিয়ে বাড়ী ফিরতে প্রতিদিন সংঘটিত হচ্ছে র্দুঘটনা।এছাড়াও উক্ত সড়ক দিয়ে বয়োবৃদ্ধ পুরুষ/মহিলা,প্রসূতি ও শিক্ষার্থীদের যাতায়ত চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
স্হানীয়দের বরাত দিয়ে ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার রেজাউল করিম বলেন,আলমনগর (মাষ্টার আব্দুল হাই উচ্চ বিদ্যালয়) সড়কটি বলতে মৎস্যঘের বাণিজ্যিক সড়ক।এই সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন মৎস্য ঘের বড়-ছোট মালবাহী গাড়ী চলাচলের কারণে সড়কটি বেহাল দশা।গত ২৫ আগষ্ট প্রতিবেদক হিসেবে আপনার দেখা মতে র্দুঘটনাটি সত্য।এভাবেই প্রতিদিন ছোট খাটো র্দুঘটনা হতে থাকে।যে কারণে দৈনন্দিন দশ হাজার মানুষের ভোগান্তি শেষ নেই।বিশেষ করে মৎস্য ঘেরে গাড়ীগুলো সড়কটিকে করুণ অবস্থা তৈরী করে। এবিষয়ে বরইতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জালাল আহমদ সিকদার বলেন,আমার ইউনিয়নের দৈংগাকাটা,মচইন্নাকাটা,আলমনগর সহ আরো ২/৩টি সড়কের বেহাল দশা।প্রতিদিন ছোট-বড় গাড়ী র্দুঘটনার শিকার।আলমনগর সড়কটি মৎসঘেরে গাড়ীর কারণে হলেও,অন্যন্যা সড়কগুলো সংস্কারের জন্য উপজেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে অনেকবার দেখিয়েছি,আবেদন করেছি।সংস্কারের কোন লক্ষণ দেখিনি।কাজে নয়,কথায় দায়সারায় শান্ত্বনা পায়।সড়ক সংস্কারের অবহেলায় ইউনিয়ন জুড়ে মানুষ চরমভাবে কষ্টের শিকার হচ্ছে।তবু আমি সড়কগুলো সংস্কারের তকবির নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি। এবিষয়ে চকরিয়া উপজেলার এলজিডি কর্মকর্তা কমল কান্তি পাল বলেন,বরইতলীর সড়কগুলো নতুন প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে।আশা করছি বর্ষা মৌসুমের শেষে উল্লেখিত সড়কগুলো সংস্কার কাজ শুরু হবে।