জিয়াউল হক জিয়াঃ
সোমবার থেকে শুরু হওয়া টানা ভারি বর্ষণে কক্সবাজারের চকরিয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত।কারণ চকরিয়ার বুক ছিড়ে প্রবাহিত মাতামুহুরী নদী।বর্ষার বৃষ্টিতে এ নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের পানিতে প্লাবিত চকরিয়ার নিন্মাঞ্চল।এর ফলে সৃষ্টি হয় বন্যা।ডুবে গেছে চকরিয়ার প্রায় ২০ হাজার মত পরিবার। এমন পরিস্তিতিতে গত তিন দিন ধরে চকরিয়ায় বিদ্যুৎ সচল রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালায় চকরিয়াস্হ সংশ্লিষ্ট পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু চকরিয়াতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার ফলে বিদ্যুৎ লাইনের নানান সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। তাই ঝুঁকি পূর্ণ অবস্হা স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত চকরিয়া উপজেলার যেসব এলাকায় পল্লী বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকবেনা।এসব এলাকা হলো কাকারা, সুরাজপুর-মানিকপুর, লক্ষ্যারচর, কৈয়ারবিল, বরইতলী, হারবাং, পূর্ব বড়ভেওলা, বিএমচর ও কোনাখালী ইউনিয়নের এলাকা।
কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুত সমিতি চকরিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের ডিজিএম মোঃ মোছাদ্দেকুর রহমান বলেন, বন্যার পরিস্থিতিতে পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক রাখার চেষ্টায় দিন-রাত মাঠে কাজ করছে পল্লী বিদ্যুৎতের আলোর ফরিওয়ালা সহ সকল কর্মকর্তা কর্মচারীগণ।কিন্তু গত বুধবার থেকে চকরিয়ার সমগ্র এলাকাজুড়ে বন্যার অতিরিক্ত পানিতে প্লাবিত বিভিন্ন ইউনিয়নের কিছু কিছু এলাকা।এতে বন্যার পানিতে বসতবাড়ি, বিদ্যুৎতের খুঁটি, মিটার ও ফসালাদী ডুবে যাওয়া।এসময় কিছু-কিছু এলাকাতে বিদ্যুৎ খুঁটি ভেঙ্গে ও হেলে যায়।এসব এলাকা চিহৃিত করে দূর্ঘটনা থেকে বাচাঁতে উপরোক্ত এলাকায় ২৯ জুলাই থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত পল্লী বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।বিদ্যুৎ সরবরাহে সাময়িক অসুবিধার জন্য কর্তৃপক্ষ দুঃখপ্রকাশ করেছেন।