শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
অনিয়ম ও দুর্নীতির ঊর্ধ্বে থেকে পরিচ্ছন্ন কক্সবাজার গড়তে সহযোগিতা চাইলেন নবাগত জেলা প্রশাসক চলছে যৌথ বাহিনীর অভিযান:১৩দিনে ১৫৫ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭২ ভারতের কাছে হারানো ২০০ একর জমি ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ মাতারবাড়ীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) উপলক্ষে জশনে জুলুছ ফাসিঁয়াখালীতে ১০কেজি ওজনের অজগর সাপ উদ্ধার কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে পবিত্র মাহফিলে মিলাদুন্নবী (স:) উদযাপন রেকর্ড বৃষ্টিতে কক্সবাজার প্লাবিত, পাহাড় ধ্বসে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও কক্সবাজার সদরে ৬ জনের মৃত্যু সাধারণ মানুষকে পুলিশ হয়রানি করলে আমি তাকে হয়রানি করবো- কক্সবাজারের নবাগত পুলিশ সুপার উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক শিশু ছাত্রের শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক মাদ্রাসা শিক্ষক আটক কুতুবদিয়ায় এক ডাকাত আটক

প্রথম জীবন তারপরে জীবিকা: প্রধান বিচারপতি

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২১
  • ৩৫০ বার পঠিত

যুগান্তর

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, আইনজীবীদের অসুবিধা হচ্ছে এটি আমরা বুঝি। কিন্তু জীবনও তো আছে। জীবনের সঙ্গে জীবিকাও লাগবে। দুটি লাগবে একসঙ্গে। জীবন-জীবিকা পাশাপাশি যায়। প্রথম জীবন তারপরে জীবিকা।

আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল কোর্টে বিচারিক কার্যক্রমের শেষ পর্যায়ে রোববার প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চে এই বিচারিক কার্যক্রম চলে।

এ সময় আইনজীবী সমিতির সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস, আদালতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ, আইনজীবী মো. ওজি উল্লাহ বক্তব্য দেন।

প্রধান বিচারপতির উদ্দেশে রুহুল কুদ্দুস বলেন, রোজা চলছে ও সামনে ঈদ- হাইকোর্টের বেঞ্চ বাড়ানোর বিষয়টি যদি একটু বিবেচনা করতেন।

এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, আপিল বিভাগ চলে মাত্র ৪০ জন স্টাফ দিয়ে। ছয় বিচারপতির জন্য ৪০ জন নয় ৩৬ জন স্টাফ আসে। তাও বয়স্ক ও মহিলা বাদ দিয়ে আপিল বিভাগে ৩৬ জন স্টাফ এবং হাইকোর্টে বিভাগে আসে ১০০ জন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, আমি পুরো আদালত বন্ধ করি নাই। এ অবস্থায় পুরো আদালত বন্ধ থাকা উচিত ছিল, তাও কোর্ট চলছে। ধন্যবাদ জানাবেন সরকারকে যে আইনটি (আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার আইন) করে দিয়েছে। এখনো ভারতে ও পাকিস্তানে আইন হয়নি।

তিনি বলেন, বিচার বিভাগ পৃথককরণ হয়েছে ২০০৭ সালে, আজকে ২০২১। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট ভবনের জন্য সব জায়গা এখনো অধিগ্রহণ হয়নি, তারপরে বিল্ডিং করতে হবে। আমি আর কত বলব?

প্রধান বিচারপতি বলেন, আমাদের জুডিশিয়াল অফিসার (বিচারিক কর্মকর্তা) দরকার দ্বিগুণ ও তিন গুন। আইনজীবীরা যদি ভার্চুয়াল কোর্ট করেন, তাহলে একমাত্র উত্তরণের পথ আছে। তা না হলে ত্রিশ লাখ মামলা কোনো দিন শেষ হবে না।

আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, মি. রুহুল কুদ্দুস সমস্যা হচ্ছে কি- এখন হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগে ১৪০-১৪৫ জন স্টাফ আসেন। যদি হাইকোর্টে এখন ৩০-৪০ কোর্ট বা হাইকোর্ট সব ভার্চ্যুয়ালি খুলে দেওয়া হলে আমাদের যে প্রায় আড়াই হাজার স্টাফ আছে, সব চলে আসতে হবে। তা না হলে কোর্ট চালানো যাবে না।

সমিতির সম্পাদক রুহুল কুদ্দুসের উদ্দেশে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী বলেন, আমাদের যে স্টাফ আছে, তাদের প্রত্যেকের পরিবার আছে। সব স্টাফ যদি আমরা কোর্টে নিয়ে আসি, আক্রান্ত যদি হয়- এর দায়িত্ব কে নেবে?

প্রধান বিচারপতি বলেন, দশটি বেঞ্চের জন্য স্টাফ আনতে হবে এক হাজার। এখন এক হাজার স্টাফ আনতে আমি সাহস করি না। পরে প্রধান বিচারপতি বলেন, দেখেন আগামী বুধবার কী হয়। সবাই ভালো থাকেন এবং বাসায় থাকেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কথা বলছি, ‘স্টে হোম, স্টে সেফ।’

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs