মোঃ উসমান গণি।
কক্সবাজার জেলার নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলার ২ নং পোকখালী ইউনিয়নে ঈদগাঁও নদী হতে অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে ও ঝুঁকিতে রয়েছে কয়েক হাজার পরিবার। এলাকা গুলো হলো,পূর্ব পোকখালী সিকান্দার পাড়া,মিয়া পাড়া,চরার কাচা,মধ্যম পোকখালী ছমি উদ্দিন পাড়া, রবার ড্রাম সংলগ্ন আবুবকরের সামনে,ন্যাইক্ষ্যংদিয়া মরহুম জয়নাল মেম্বার বাড়ির সামনে, ফকির পাড়া চেয়ারম্যান রফিক আহমদ এর বাড়ির সামনে,পশ্চিম পোকখালী চরপাড়া এলাকা,মধ্যম পোকখালী শাহাজাহান মেম্বারের বাড়ির সামনে উত্তর পাড়ার সুইচ গেইট,পশ্চিম ইছাখালী, পূর্ব গোমাতলী এলাকা চরপাড়া প্রকাশ বর্মাইয়া পাড়া এলাকা গুলো রয়েছে চরম ঝুঁকিতে। তাই প্রতিবছর বর্ষার মৌসুম আসলেই বেড়িবাঁধ গুলো ভেঁঙ্গে যায়। যার ফলে বন্যা প্লাবিত হলে লুকায়লে ডুকে পড়ে পানি। ইউনিয়নে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলনের মহোৎসব বন্ধ না হলে, আরো বড় ধরনের ক্ষতি আশংকা করেন এলাকার সচেতন মহল।
এলাকায় সরজমিনে ঘুরে দেখা যায় মধ্যম পোকখালী ছমি উদ্দিন পাড়া এলাকায় দুই টি ড্রেনজার মেশিন, মধ্যেম পোকখালী উত্তর পাড়া এলাকায় একটি,পূর্ব গোমাতলী চরপাড়া প্রকাশ বর্মাইয়া পাড়ায় একটি,পশ্চিম ইছাখালী গোমাতলী ব্রিজ সংলগ্ন সেতু পাড়া এলাকায় দুই টি ড্রেনজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তলন করছে টেক পাড়া এলাকার বাচ্চু মাঝি ও ফাইসাল নামে দুইজন ব্যাক্তি।
ওনার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে বলেন আমরা বিভিন্ন জায়গায় চাঁদার টাকা দিয়ে ঈদগাঁও নদী থেকে বালু উত্তোলন করে থাকি। যাদের বাড়ি নদীতে বিলিয়ন হয়ে যাচ্ছে তাদের কে বলেছি টাকা উঠিয়ে এস্তেফার দেওয়ার জন্য।
গোমাতলী এলাকার গ্রাম পুলিশের ছেলে ফায়সাল বলেন আমার বাবা একজন গ্রাম পুলিশ হয়েও বিভিন্ন জনকে চাঁদা দিয়ে ড্রেনজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে থাকি।
স্হানীয়সাধারণেরন দাবি, ঘরবাড়ি যানমাল নিরাপত্তা রক্ষা করতে হলে অবৈধ বালি উত্তোলনের মহোৎসব বন্ধ করতে হবে, তাই ঈদগাঁও সাধারণ মানুষ কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মহোদয়, সদর ইউএনও মহোদয়, সদর এসিল্যান্ড সহ পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে শীঘ্রই অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে হবে।
অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলনের কারণে প্রতিবছর নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলায় প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড, স্কুল কলেজে পড়ুয়া, ডেলিভারী রোগী থেকে শুরু করে সকল পেশাজীবীদের যাতায়তের জন্য কষ্টকর।
অতিবৃষ্টি হলেই পানিতে ডুবে যায়, চলাচলের রাস্তা ঘর বাড়ি। যার কারণে দুর্ভোগের শেষ হয়না স্হানীয় জনসাধারণের। অবৈধ বালি খেকোদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করার টেকসই বেড়ি বাঁধ করে দেওয়ার জন্য সময়ের দাবী জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।
কক্সবাজার সদর উপজেলার ইউএনও মিল্টন রায়ের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন অবৈধ বালু উত্তলন কারীদের বিরুদ্ধে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।