পেকুয়া প্রতিনিধি:
টইটং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন- ২০২১ প্রকাশিত গ্রেজেটের বিরুদ্ধে চাউল আত্মসাৎকারী জাহেদুল ইসলাম, সকল প্রতিদন্ধী প্রার্থী, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কর্মচারী, রির্টানিং কর্মকর্তা ও তাহার সহকারী এবং আইন শৃংখলা বাহিনী দায়িত্ব প্রাপ্ত পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে কক্সবাজার নির্বাচনী ট্রাইবুনালে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলার বাদীর সূত্রে জানা যায় যে, ২০ই সেপ্টেম্বর ২০২১ইং ভোট গ্রহণে অনিয়ম, কার চুপি ও নির্বাচন চলাকালীন আচরণ বিধি লঙ্গন, কেন্দ্র তালিকা তৈরীতে অনিয়ম এবং প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার তালিকায় অনিয়ম এবং স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে একতরফা ভোট কেন্দ্রে নিয়োগপত্র প্রকাশ করে। মামলার বাদী নুরুল আমিন বলেন, নির্বাচনের আগের দিন রাত্রে প্রতিটি কেন্দ্রে কেন্দ্রে গিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে টাকা বিলিন করে। চাউল চোরে বহিস্কার প্রাপ্ত চেয়ারম্যান অবৈধ প্রন্থায় নৌকার প্রতিক এনে মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে প্রতিটা মানুষকে জিম্মি করে। ক্যাডার বাহীনির মাধ্যমে কেন্দ্র দখলে নিয়ে প্রশাসনিক ছত্র ছায়ায় প্রিজাইডিং অফিসারদেরকে টাকা ও অর্থের বিনিময় এবং চাকরীচ্যুত করার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। ভোট কার চুপি এবং ব্যালট পেপার বাহিরে এনে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে একটি প্রশ্নবিদ্ধ ফলাফল মানুষের কাছে প্রকাশ করে। কিন্তু নির্বাচন চলাকালীন ধনিয়া কাটা সোনাইছড়ি সঃ প্রাঃ বিঃ ভোট কেন্দ্রে কয়েকজনকে ব্যালট পেপার হাতেনাতে ও জাল ভোট প্রদান করার সময় আটক করে। কিন্তু সরকারী দলীয় প্রার্থী হওয়ায় প্রশাসনিক ছত্র ছায়ায় তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তখন আমার নিজস্ব ফেইসবুক আইডিতে লাইভে এসে এই নির্বাচন বর্জন করি। কিন্তু নির্বাচন কমিশনার পেকুয়া দায়িত্বপ্রাপ্ত সকল কর্মকর্তা কমচারী ১৯ইং সেপ্টেম্বর হইতে ২০ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভোট কার চুপি ও ফলাফল বানচাল করার কাজে লিপ্ত থাকে। ভোট গণনার সময় অনিয়মের অভিযোগ তুলে জনগন ক্ষিপ্ত হয়ে ৪নং ওয়ার্ড বনকানন মাদ্রাসায় ভোট কেন্দ্রে পুলিশের সাথে জনগনের সংঘর্ষ রাত অনুমান ১০টা পর্যন্ত চলমান ছিল। এই ঘটনায় সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী নির্বাচনীয় দায়িত্বরত অফিসারের গাড়ী বহরে হামলা প্রতীয়মান। এই বিষয়ে প্রশাসন বাদী হয়ে অত্র ৪নং ওয়ার্ডের প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী ও তাদের আত্মীয় স্বজনদেরকে আসামী করে প্রায় ২১০ জনের নামে একটি মামলা রুজু করে। অত্র মামলার কারণে অনেক সাধারণ নিরহ মানুষ আজ ঘর ছাড়া এবং উক্ত ঘটনার কারণে আমার প্রতিটির ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্রের ফলাফল প্রকাশ না করে কর্মকর্তা কর্মচারী ও দায়িত্বরত সকল অফিসারগণ ফলাফল না দিয়ে সবাই উপজেলা নির্বাচন কমিশনার কার্যালয়ে চলে যায়। মামলার বাদী আরো বলেন, তারপরে অনিয়ম ও ভোট বানচাল এবং গরমিল ফলাফল তড়ীগড়ি করে একটি ফলাফল প্রকাশ করে। ফলাফলে দেখা যায় যে, মহিলা ভোটার ও চেয়ারম্যান ভোটার এবং সদস্য ভোটার ফলাফলের সিটের সাথে মিল নেই। সেই সুবাদে আমি উক্ত বিষয়ের উপজেলার দায়িত্বরত সাংবাদিকদের কে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করি। অতীতে আমার কোন অভিযোগে শুনানি এবং কোন জেল জরিমানা করা হয়নি। তাই আমি এই নির্বাচন মানি না বলে পুনঃ নির্বাচনের জন্য মাননীয় নির্বাচনীয় ট্রাইবুনাল কক্সবাজার জেলা বরাবরে অত্র মামলাটি রুজু করি। মামলা নং- ০৪/২১ইং নির্বাচনীয় ট্রাইবুনাল। অত্র ট্রাইবুনালে মামলাটি ৯০দিন অথবা ১৮০দিনের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করার বিধি বিধান রয়েছে। সকল বিবাদীকে সমন জারি করে ডাকবিভাগের মাধ্যমে চিঠি ইস্যূ করার হয়েছে। আমি বাংলাদেশ সরকারের কাছে অত্র মামলাটি তদন্ত এবং শুনানির মাধ্যমে সুষ্টু একটি রায় আশা করি। টইটং ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম বলেন, আমার কোন ধরণের মন্তব্য নাই।