জিয়াউল হক জিয়াঃ
চকরিয়া পেকুয়ার এমপি জাফর আলম বিএ ( অনার্স) এমএ বলেছেন, পেকুয়া সদর ইউনিয়নের ১৪টি স্লুইচ গেট অকেজো হয়ে থাকায় দীর্ঘদিন ধরে বর্ষায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে আমন চাষ ব্যহত হয়ে আসছে। কিছু স্বার্থানেষী মহল স্লুইস গেট গুলোতে জাল বসিয়েও পানি চলাচল ব্যহত করে থাকে। পেকুয়া সদর ইউনিয়নে যারা স্লুইস গেট দখলে নিয়ে বা জাল বসিয়ে পানি চলাচল ব্যহত করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পেকুয়া সদর ইউনিয়নে ১৪টি স্লুইস গেটের বাইরের দিকে নতুন জলকপাট লাগিয়ে দিয়ে ও ভেতরের দিকের জলকপাট তুলে দিয়ে শুক্রবার দুপুরে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের নন্দীর পাড়া চৌমুহনীতে স্থানীয় কৃষকদের এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি জাফর আলম এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেছেন; পেকুয়া সদরে ১৪টি স্লুইস গেটের নতুন জলকপাট দেওয়া হয়েছে। পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতা সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম ১৪ টি স্লুইস গেটের জন্য আবেদন করেছিলেন, তার আবেদনের প্রেক্ষিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে ১৪টি স্লুইস গেটের নতুন জলকপাট করে দিয়েছি। এসব স্লুইস গেট গুলোর ভিতরের দিকের জলকপাট গুলো বর্ষার সময় খোলা থাকবে। নদী থেকে যাতে ভেতরে পানি ঢুকতে না পারে সেজন্য স্লুইসগেট গুলোর বাইরের দিকের জলকপাট লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ ভেতরের দিকের জলকপাট গুলো শুষ্ক মৌসুমে লাগানো যাবে। এই স্লুইস গেট গুলোর উপরে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের ৫০ হাজার মানুষের রুটি রুজি নির্ভর করে। প্রায় এক হাজার একর জমির আমন চাষ এই স্লুইস গেট কেন্দ্রিক। কেউ ব্যক্তি স্বার্থে স্লুইস গেট দখলে রেখে বা জাল বসিয়ে মাছ ধরে পানি চলাচল ব্যাহত করতে পারবে না। জনগন বা সাধারণ কৃষকের ক্ষতি হয় এমন কোন কাজ কোনভাবে করা যাবেনা। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহসভাপতি সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম, প্রবীণ আওয়ামিলীগ নেতা মাস্টার শাহ আলম, ফিরোজ আহমদ মেম্বার, মোস্তাফিজুর রহমান, ছাত্রলীগ নেতা মো সোহাইল প্রমুখ । সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম বলেছেন স্লুইস গেট গুলোর ভিতরের দিকের জলকপাট গুলো খুলে দেওয়ায় এলাকার দীর্ঘদিন ধরে জিয়ে থাকা জলাবদ্ধতার সমস্যা দূরীভূত হয়েছে। স্লুইস গেট গুলোতে বাইরের দিকে নতুন জলকপাট দেওয়ায় নদী থেকেও আর পানি ঢুকে আমন চাষ ব্যাহত করতে পারবে না। সমাবেশে স্থানীয় কৃষকরা এমপি জাফর আলমের কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন।