আমিরুল ইসলাম রাশেদ, পেকুয়া।
কক্সবাজারের পেকুয়ায় মগনামা ইউনিয়নের মটকাভাঙ্গা এলাকার সোনালী বাজারের ব্যবসায়ী মৃত ছৈয়দ নুরের ছেলে রিদুয়ানের সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে আসছিলেন উজানটিয়া ইউনিয়নের নতুন ঘোনা এলাকার নুরুল বশরের মেয়ে রুজিনা বেগম।
গত ৬ মাস আগে তাদের প্রেমের সম্পর্ক বিচ্ছেদ হলে রুজিনা বেগম পেকুয়া সদর ইউপির নন্দীর পাড়ার এলাকার মৃত ফজল করিমের ছেলে উজানটিয়া ইউনিয়নের গোধার পাড় এলাকার কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মকর্তা রেজাউলের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। রেজাউল প্রেমের সূত্র ধরে তার প্রেমিকাকে এনজিওতে অস্থায়ী ভিত্তিতে চাকরি দেন ওই কমিউনিটি ক্লিনিকে। প্রেমের সস্পর্ক ওই দুই পরিবার মেনে নিয়ে গত দুই সপ্তাহ আগে রেজাউলের সাথে রুজিনার বিয়ের দিনক্ষণ হয়।
রেজাউলের সাথে রুজিনার বিয়ের বিষয়টি মানতে না পারায় আগের প্রেমিক রিদুয়ান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রুজিনার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ কথা প্রচার শুরু করেন। তাতে ওই দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে রেজাউলের সাথে রুজিনার বিয়ে ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়। বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে রাগে অপমানে আত্মহত্যা করেন প্রেমিকা রোজিনা! প্রেমিকা রোজিনার আত্মহত্যার খবর পেয়ে প্রথম প্রেমিক রিদুয়ানও করেন আত্নহত্যা করেন । ত্রিভুজ প্রেমের এই গল্প কোন সিনেমার নয়। বাস্তব ঘটনা এটি একটি ঘটনা ।
১৫ অক্টোবর শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিষাক্ত ট্যাবলেট ( ইদুরের বিষ ) খেয়ে আত্মহত্যা করেন রোজিনা বেগম (২০) । এই খবর পেয়ে প্রায় ১৫ মিনিট পরে একইভাবে আত্মহত্যা করেন রিদুয়ানুল হক (২২) নামের এই যুবক।
স্থানীয় ও নিহত রোজিনার স্বজনরা জানান, রোজিনা বেগমের সাথে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের মেহেরনামা এলাকার রেজাউল করিম নামের এক যুবকের বিয়ে ঠিক হয় । আগামী সপ্তাহে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার কথা। কিন্তু চূড়ান্ত মুহুর্তে এসে বরপক্ষ রোজিনার সাথে পাশের গ্রামের রিদুয়ানের সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পারে । এই ইস্যু ধরে বিয়ে করতে অপারগতা জানান রেজাউল। এতে রাগে অপমানে সকালে রোজিনা বিষাক্ত ট্যাবলেট খায়। তাকে পেকুয়ার একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
রিদুয়ানের ভাই হোছাইন বলেন, রিদুয়ানের সাথে একটা মেয়ের সম্পর্কের ব্যাপারে জানতাম। এই মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে সেও বিষাক্ত ট্যাবলেট খেয়ে ফেলে । তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় ।
এদিকে অপর রেজাউল করিমের সাথে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এব্যাপারে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, আমরা লাশ উদ্ধার করেছি ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছি। আত্মহত্যা করার জন্য কেউ পৌরচনা করে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব।