পেকুয়া প্রতিনিধি :
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার শিলখালীতে ঘরে ঢুকে সাহাদাত হালিমা দম্পতিকে কুপিয়ে গুরুতর জখম অবস্থায় অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। পরে পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সুত্রে জানা যায়, আজ দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে ইউপির কাচারি মুরা স্টেশনের পাশে এই ঘটনা ঘটে। লোকজন জুমার নামাজে গেলে এলাকা সুনসান নীরবতা দেখে
প্রতিপক্ষ একই এলাকার লাল মিয়ার পুত্র বেলাল উদ্দীন,মামুন,দুদু মিয়ার পুত্র হেলাল উদ্দিন,সাহাব উদ্দীনের পুত্র আরাফাতুল ইসলাম,লাল মিয়ার স্ত্রী পুতু, খাইরু জন্নাত সহ অজ্ঞাত ১৫/১৭ মিলে সাহাদাতের বাড়িতে ঢুকে সাহাদাত(৩২) ও তাঁর স্ত্রী হালিমা বেগমকে (২৬) কুপিয়ে গুরুতর জখম করে অবরুদ্ধ করে রাখে। এলাকায় লোকজন জড়ো হলে সন্ত্রাসীরা বের হয়ে যায়। রাস্তায় তাদের পক্ষে বদি আলমের স্ত্রী মিনু আক্তার নামে এক নারীকে মেরে রাস্তায় শুইয়ে রাখে ও সন্ত্রাসীরা রাস্তায় দাড়িয়ে থাকে।
এসময় স্থানীয় কিছু লোক অভিযোক্তদের বল্লে আহত নারী(মিনু)কে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য, কখন তারা বলে তাকে হাসপাতালে নিবে না, পুলিশ আসলে তাঁরা নিবে। যদি সে মরে যায় তাদের জন্য আরো বলে জানান,ঘটনায় উপস্থিত অভিযোক্তরা।
আহত সাহাদাত সদর ইউনিয়নের মৌলভী পাড়া এলাকার মৃত আবদুর রহিমের পুত্র। তিনি দীর্ঘ প্রবাসে ছিলেন প্রবাস থেকে দেশে ফিরে স্ত্রী হালিমা বেগমকে সাথে নিয়ে তাদের নতুন বাড়িতে বসবাস করে আসছেন।
আহতের ভাই রিদুয়ান বলেছেন, ১১৩৪ খতিয়ানের বি,এস দাগ ১৮২৭৫, ১৮২৭৬ এই দুই দাগে মোটঃ৩৯.২০ শতক ক্রয় ও পৈতৃক সুত্রে তাদের। ওই জাগায় দেড় বছর আগে ঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসতেছি।আজ জুমার সময় সন্ত্রাসীরা আমাদের বাড়িতে ঢুকে ভাই ও ভাবীকে মারধর করেছেন,আমি আমাদের পুরাতন বাড়ি থেকে গিয়ে পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি।
পেকুয়া থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কানন সরকার বলেন,’ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’।