বার্তা পরিবেশক।
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় শেখের কিল্লা ঘোণা এলাকার নিজামুল ইসলাম প্রকাশ নেজাম(৩০) বাদী হয়ে চকরিয়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করায় প্রতিনিয়ত বাদীর পরিবারকে হামলা ও মারধর করার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার হাজ্বী কামাল হোসাইনের পুত্র মোহাম্মদ মফিজ গংয়ের বিরুদ্ধে।
গত ০৮ অক্টোবর রাত ৩.৩০ মিনিটের দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়ন আদর্শ পাড়া এলাকায় নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে রাতে অন্ধকারে ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়ে এবং দা, কিরিস, লোহার রড, গুলি করে মারধর করে মর্মাহত অবস্থা আহত করে পেলেন। শেখের কিল্লা ঘোণা এলাকার মৃত বজল আহমেদর স্ত্রী তাহেরা বেগম(৭০), তার পুত্র জামাল হোসাইন(৫৫), জয়নাল আবেদীন(৩৫), নেজাম উদ্দিন (৩০), জামাল হোসাইনের স্ত্রী হাছিনা বেগম(৪০), তার পুত্র মোঃ তারেক(২৩)। পরে পুলিশ এসে তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে।
আদালতে দায়ের করা মামলায় মোহাম্মদ মফিজ(৩০) কে ৯ নং আসামি করা হয় এর জের ধরে তার পরিবার বাদীর পরিবারের উপর অমানবিক অত্যাচার করে আসতেছে। রাত হলে বাদীর বাড়ির উপরে ঢিল ছুটে ঘুমাতে দেয় না। তাদেরকে দেখলে গালাগালি, এমন কি মারধরও করে।
জয়নাল আবেদীন বলেন, আমার পরিবারের উপর হামলা করে সবাইকে আহত করে পেলে এমনকি আমার বৃদ্ধ মাকেও হামলা চালায়। এই ঘটনায় মফিজ সরাসরি জড়িত ছিল। তাই সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চকরিয়ায় মামলা দায়ের করলে তাকে ৯ নং আসামী করায় তার বাড়ির পাশে আমার পুরাতন বাড়ি, যে খানে আমি আমার স্ত্রী ও ছেলে মেয়েকে নিয়ে থাকি। ১৩ অক্টোবর বিকালে আমার বাড়িতে এসে আমার স্ত্রীকে মারধর করে এবং আমাদের কে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেন। মফিজের পরিবারের সদস্যরা গালাগালি করতে থাকে, রাতে বাড়িতে ঢিল ছুটে মারে, যার কারণে আমরা রাতে ঘুমাতে পারিনা।এই ব্যাপারে পেকুয়া থানা পুলিশের সহযোগিতা কামনা করি।
এই বিষয়ে পেকুয়া থানা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, এই বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিব।