শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
অনিয়ম ও দুর্নীতির ঊর্ধ্বে থেকে পরিচ্ছন্ন কক্সবাজার গড়তে সহযোগিতা চাইলেন নবাগত জেলা প্রশাসক চলছে যৌথ বাহিনীর অভিযান:১৩দিনে ১৫৫ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭২ ভারতের কাছে হারানো ২০০ একর জমি ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ মাতারবাড়ীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) উপলক্ষে জশনে জুলুছ ফাসিঁয়াখালীতে ১০কেজি ওজনের অজগর সাপ উদ্ধার কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে পবিত্র মাহফিলে মিলাদুন্নবী (স:) উদযাপন রেকর্ড বৃষ্টিতে কক্সবাজার প্লাবিত, পাহাড় ধ্বসে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও কক্সবাজার সদরে ৬ জনের মৃত্যু সাধারণ মানুষকে পুলিশ হয়রানি করলে আমি তাকে হয়রানি করবো- কক্সবাজারের নবাগত পুলিশ সুপার উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক শিশু ছাত্রের শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক মাদ্রাসা শিক্ষক আটক কুতুবদিয়ায় এক ডাকাত আটক

পেকুয়ায় অভিযানের পর পাহাড়ে পুনরায় পাকা ঘর নির্মাণ করছে এক প্রভাবশালী

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ১৬৭ বার পঠিত

পেকুয়া প্রতিনিধি :

কক্সবাজারের পেকুয়ায় পাহাড়ের প্রাকৃতিক পরিবেশ বিপন্ন হওয়া ঠেকানো যাচ্ছে না। নির্বিচারে পাহাড় এবং গাছপালা কাটার কারণে পাহাড়ের প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। অপরিকল্পিত বসতি স্থাপন এবং অবকাঠামো নির্মাণের ফলে পাহাড় ধসে প্রাণহানির সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছে।
গত ২১ জানুয়ারি মিডিয়ায় ব্যপকভাবে লেখালেখি হলে স্থানীয় বনবিভাগের বিটকর্মকর্তা অভিযান পরিচালনা করে। অবৈধ একটি পাকাঘর নির্মাণের দেওয়া ফাউন্ডেশন ও গ্রেটবিম ভেঙে দিয়ে কাজ বন্ধ করে নির্মাণসামগ্রী জব্দ করা হয়। কিন্তু কারো বিরুদ্ধে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় ১০জনের অধিক যুবক জানিয়েছেন,পরবর্তীতে স্থানীয় অলী আহমদ নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে বনবিট কর্মকর্তা সাহাদা ৩০হাজার টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে, আইনকে তোয়াক্কা না করে, পূনরায় সে ঘর নির্মাণ করে যাচ্ছে প্রভাবশালী এই ব্যক্তি ।
টইটং ইউপির ৪নং ওয়ার্ড কেরনছড়িতে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, আব্দুর রশিদের ছেলে আব্দুল হাকিম তার ছেলেদের নিয়ে পাহাড় কেটে পাকা দালান ঘরের নির্মাণকাজ করছে। রাত ও দিনে সমানগতিতে এগিয়ে চলছে এই নির্মাণকাজ।
বনবিভাগের অভিযানের পর কিভাবে পুনরায় পাকাঘর নির্মাণ করতে পারে সে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সচেতন মহলে। এই ঘটনায় অনেকে বনবিভাগের ব্যর্থতা বলে দাবি করে। এভাবে বনবিভাগের রিজার্ভভূমিতে পাহাড় কেটে দালানগড়া অব্যাহত রাখলে ভয়াবহ পরিবশ বিপর্যয়ের আশঙ্খা রয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সচেতন মহল।
অলী আহমেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন।
তবে টাকা নিয়ে অনুমতি দেবার কথা অস্বীকার করেন বিটকর্মকর্তা সাহাদত হোছাইন।
পাহাড় কেটে ঘর তৈরির অভিযোগে অভিযুক্ত আব্দুল হাকিমের পুত্র আব্দুল আওয়াল(২৭) বলেন ” আমরা বিটকর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে ঘর নির্মাণ করতেছি, মৌখিক অনুমতি নিয়েই এই রিজার্ভভূমিতে ঘর করতেছি।”
রেঞ্জ কর্মকর্তা হাবিবুর হক বলেন,”আমি অবগত হয়ে বেশ কয়েকবার বিটকর্মকর্তাকে এ বিষয়ে জানিয়েছি, এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছি।”

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs