স্টাফ রিপোর্টার,কক্সবাজারঃ
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের শেখেরকিল্লাঘোনা গ্রামে স্থানীয়দের উদ্যোগে দীর্ঘদিন অবহেলিত পানি চলাচলের খাল সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে।
বুধবার (১১ মে) সকাল থেকে স্থানীয় লোকজন এ কাজ শুরু করেন। সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতায় ভোগা গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের মাঝে এতে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে।
গ্রামের প্রায় ৫ হাজার মানুষ বছরের পর বছর পানিবন্দি হয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। প্রায় ৬শ পরিবারের বসবাস হলেও এলাকাটি এখন একটি আবাসিক এলাকায় রূপ নিয়েছে। বহুতল ভবনের সংখ্যা বাড়ছে দিন দিন। কিন্তু পানি চলাচলের একমাত্র খালটি আবর্জনায় ভরাট হয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতা নিত্যনৈমিত্তিক সমস্যায় পরিণত হয়।
জলাবদ্ধতায় শত বছরের পুরোনো কবরস্থানও পানির নিচে চলে যায়। সম্প্রতি দাফনকৃত ৫টি লাশ কবর থেকে ভেসে ওঠে, ছড়ায় তীব্র দুর্গন্ধ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, কখনোই কোনো জনপ্রতিনিধি খাল সংস্কারে আগ্রহ দেখাননি, যদিও উক্ত গ্রামেই ইউপি চেয়ারম্যান এবং উপজেলা বিএনপির সভাপতি বাস করেন।
স্থানীয় যুবদল নেতা জয়নাল আবেদীন এর নেতৃত্বে প্রায় ৪০ জন গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে স্কেভেটরের মাধ্যমে ৪০০ মিটার দৈর্ঘ্যের খাল সংস্কারের কাজ শুরু করে। এ উদ্যোগে গ্রামের মানুষের মাঝে আশার সঞ্চার হয়েছে।
এ বিষয়ে যুবদল নেতা জয়নাল আবেদীন বলেন,গ্রামবাসীর খালটি সরকারের ১ নম্বর খাস খতিয়ানে এনে সুষ্ঠু ড্রেনেজ ব্যবস্থার দাবি দীর্ঘদিনের। এ বিষয়ে তারা সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদকেও অবহিত করেছেন।
স্থানীয় আবু তাহের, আনছার, ইয়াসিনসহ আরও অনেকে বলেন, খালটি অভিশাপে পরিনত হয়েছে। ময়লা আবর্জনায় ভরপুর হয়ে গেছে যার কারণে পানি চলাচল এক প্রকার বন্ধ রয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলে বাড়িঘরে পানি ঢুকে যায়।তাই আমরা নিজেদের উদ্যোগে সংস্কার কাজে নেমে পড়ি।গ্রামবাসী জানান, খাল পরিষ্কারের পর কিছুটা হলেও পানি চলাচল শুরু হয়েছে, যা তাদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি থেকে মুক্তির পথ তৈরি করেছে। যারা এ কাজে সহযোগিতা করেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য এম বাহাদুর শাহ বলেন, খালটি সংস্কার করা খুবই জরুরি। আমি অসুস্থতার কারণে চট্টগ্রামে আছি। তবে এলাকার লোকজন আমাকে সলস্কারের বিষয়ে অবগত করেন। প্রয়োজনে সব ধরণের সহযোগিতা করব।