স্টাফ রিপোর্টারঃ
কক্সবাজারের পেকুয়ায় তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীকে দিয়েই চলছে এসএসসি.পরীক্ষার ডিউটি। নিয়ম না থাকলেও নিয়ম ভঙ্গ করে ডিউটি করতে দেখা গেছে টৈটং উচ্চ বিদ্যালয়লর এক তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীকে।পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনাটি ঘটে । পরীক্ষা কেন্দ্রে এ ধরনের নিয়ম না থাকলেও নিয়ম ভঙ্গ করছেন কেন্দ্র সচিব ও বিদ্যালয় প্রধানরা।
তথ্য সংগ্রহে জানা গেছে, চলমান এসএসসি পরীক্ষায় পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরপর দু’টি পরীক্ষায় ডিউটি পালন করতে দেখা যায় টৈটং উচ্চ বিদ্যালয়ের আনছারুল হক নামের এক তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীকে। এ ধরনের কোন নিয়ম না থাকলেও নিয়ম ভঙ্গ করছেন কেন্দ্রে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা৷ এছাড়াও পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে শিলখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইব্রাহিমের এক সন্তান বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পরীক্ষা দিলেও তাঁর আপন ভাই ইমাম হোছাইনকে প্রতিদিন ডিউটির তালিকায় রাখা হয়েছে একই কেন্দ্রে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে একাডেমিক সুপারভাইজার উলফাত জাহান বলেন, তৃতীয় শ্রেণির কোন কর্মচারী পরীক্ষা কেন্দ্রে ডিউটির নিয়ম নেই। টৈটং উচ্চ বিদ্যালয় থেকে একজনকে ডিউটি দেওয়া হয়েছিলো সেটা আমরা তাদেরকে নিষেধ করেছিলাম। এরপরেও যদি ডিউটি দিয়ে থাকে সেটা আমরা যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নিবো।
এবিষয়ে কেন্দ্র সচিব মোস্তফা আলী বলেন, পরীক্ষার হলে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী ডিউটি করার বিধান নেই। টৈটং উচ্চ বিদ্যায়লের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ রাশেদ পরিচয় গোপন করে তৃতীয় শ্রেণির এক কর্মচারীকে শিক্ষক পরিচয়ে আমাদের তালিকা প্রদান করেন। আমরা বিষয়টি অবগত হওয়ার সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।
টৈটং উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ রাশেদ জানান, মূলত আমাদের বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট থাকার কারণে তৃতীয় শ্রেণির একজন কর্মচারীকে দুই বার ডিউটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যদিও এটা নিয়মে নেই। আগামী পরীক্ষা থেকে তাদের আর ডিউটিতে পাঠাবো না৷