চকরিয়া(কক্সবাজার)প্রতিনিধিঃ
টানা সাত দিনের ভারী বর্ষণে রেলওয়ে রাস্তায় কালর্ভাট বা ব্রীজ না থাকায় কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড়ের প্রায় দুই শতাধিক ঘরবাড়ী বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায়।ফলে স্হানীয় কিছু লোক রাতের আধারে পিচ ঢালাই সড়ক বিভাগের কক্সবাজার জেলা মহাসড়ক খুটাখালী টু মহেশখালী সড়কের মধ্যখানে কেটে দিয়ে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্হা করতে গিয়ে ৭হাজার পরিবারের চলাচল বিঘ্ন ঘটায় চরম র্দূভোগে পড়েছে বলে অভিযোগ করেন জনপ্রতিনিধিরা।
অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গেলে দেখা যায়,খুটাখালী টু মহেশখালীর জেলা মহাসড়কের হাফেজখানা আগে মাইজপাড়া এলাকা নামক স্হানের সড়কটি প্রায় ২০ফুট কেটে দিয়ে বর্ষার জমানো পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্হা করেছেন স্হানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন লোক।তবে তারা জনপ্রতিনিধিদের চাপারে মূখে পড়ে নিচ পাইপ চালিয়ে ৭ফুট মত ভরাট করে দেয়।এরপরও যানচলাচলের বিঘ্নতা ঘটায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের ৭হাজার পরিবারের।
জানতে চাইলে মাইজপাড়ার বাসিন্দা কয়েকজন লোক জানান, টানা সাতদিনের ভারী বর্ষণে ফলে আমাদের এলাকার দুই শতাধিক ঘরবাড়ী পানিতে তলিয়ে যায়। তার কারণ রেলওয়ে সড়কে মধ্যেখানে কোন কালর্ভাট নেই।তাই পানি নিস্কাশনের স্বার্থে কিছু র্দূভোগে থাকা লোক এই কাজটি করেছে।তবে পাইপ চালিয়ে আবার ভরাট করে দিয়েছে।তবে বিষয়টি স্থানীয় মেম্বার-চেয়ারম্যানকে জানিয়ে করা হয়েছে বলে জানান।
স্থানীয় ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার নুরুল হক বলেন, বিষয়টি আমাকে জানাইনি।পরে জানতে পেরেছি,পানি নিষ্কাশনের জন্য চলাচল রাস্তা কেটেছে।তবে নিচে পাইপ চালিয়ে কিছু অংশ ভরাট করে দিয়ে।এতে যানচলাচল সহ জনদুর্ভোগ বেড়েছে।মূল কারণ রেলওয়ে সড়কের জন্য অনেক ঘরবাড়ী পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল।
খুটাখালী ইউপি চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবদুর রহমান বলেন,রেলওয়ে সড়কে মধ্যখানে কালর্ভাট না থাকায় এলাকার ঘরবাড়ী পানিতে প্লাবিত হয়েছিল।আমাকে না জানিয়ে যারা রাস্তা কেটে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্হা করেছে। তাদেরকে বলে দেয়া হয়েছে পুরো অংশ ভরাট দিতে। কিন্তু তারা পুরোটা ভরাট না করায় যানচলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে।
এবিষয়ে কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকোশলী খন্দকার গোলাম মোস্তফা বলেন,ঠিক আছে ভাল হল বিষয়টি জানালেন।আমি লোক পাঠাচ্ছি।ঘটনাস্থল দেখে এর ব্যবস্হা নেওয়া হবে।