স্টাফ রিপোর্টারঃ
কক্সবাজারের চকরিয়ার খুটাখালী ইউনিয়নে
এলজিডি বরাদ্দে করা গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন কাজের অনিয়ম ও সিডিউলের নিয়ম নিয়ে উঠেছে স্হানীয় জনগণ ও ঠিকাদারের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। স্হানীয়দের মধ্যে সড়ক উন্নয়ন কাজের অনিয়মের অভিযোগ তুলে ইউনিয়নের উত্তর পাড়ার বাসিন্দা তৈয়ব তাহের,মিনহাজ উদ্দিন,আবুল কাশেম,নেজাম উদ্দিন মিস্ত্রী,মোস্তাক আহমদ,ছৈয়দ আহমদ,জয়নাল আবেদীন ও রমজান আলী জানান,আমাদের এলাকাতে এলজিডি বরাদ্দে করা গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন কাজের মধ্যে ব্যাপক অনিয়ম রয়েছে।যা আমরা ঠিকাদারের নিয়োজিত কর্মচারী,ফোরম্যান ও ঠিকদার কনককে একাধিক বার জানিয়েছি যে,খুটাখালী ছড়াখাল সংলগ্ন প্রায় সাড়ে ৩ ফুটের কাজ অনিয়মে হচ্ছে।যেখান বক্স করে বালি,কোয়া দেওয়ার পর রোলার গাড়ী দিয়ে চাপ দেওয়া,দেয়নি,পাশে গাইডওয়ালে খুটিঁ নেই,সড়কের প্রস্হে কোথাও ৮ফুট,কোথাও সাড়ে ৮ফুট,সড়কের কোথাও গাইউওয়াল দিল,আবার কোন-কোন জায়গায় দিল না,মাটিযুক্ত বালি আর দুই নাম্বার ইটের কোয়া দিয়ে চলছে সড়ক উন্নয়ন কাজ।তাছাড়া সড়কটির দৈর্ঘ ও প্রস্হ কত ফুট আর বাজেট কত এর কোন ফলকও দেয়নি।অনিয়মে কাজ করলেও কাজের শুরু থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত এক বছর সময় পার করেও,কাজের কোন অগ্রগতি নেই,চলছে ধীরগতিতে।এছাড়া কাজ শুরু করে কিছুদিন কাজ করে,ফেলে রাখায় বর্ষার পানিতে ক্ষত বিক্ষত হয়ে ভেস্তে গেছে কাজ।এভাবে নানান অনিয়মে সড়ক উন্নয়ন কাজ করছে অভিযোগ করেছেন স্হানীয়রা। সড়ক উন্নয়ন কাজের অনিয়ম সম্পর্কে জানতে চাইলে,পাল্টা অভিযোগ তুলে ঠিকাদার কনক বলেন,হাফেজখানা থেকে হাজীপাড়া পর্যন্ত সড়কের দৈর্ঘ্য প্রায় ৭৮১মিটার ও প্রস্হ-৩মিটার।সড়কটি বাজেট ৬৭ লক্ষ টাকা,তৎমধ্যে সড়কের পুরাতন ইট বাবদ কেটে নিল ২৪লক্ষ টাকা।ছোট এই কাজটির জন্য ফলক টাঙানোর প্রয়োজন নেই।তাছাড়া সড়কটির কাজ শুরু করার পর থেকে সড়ক থেকে তুলা ইট চুরি করল,পিলিযার চুরি করল,যা আমি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অবহিত করেছি।তাছাড়া একজন থেকে বালি নিলে,আরেকজন বলে এগুলো মাটিযুক্ত বালি,নতুন আরেকজন থেকে নিলে,তখনও বলে এইগুলো পাহাড়ী মাটিযুক্ত বালি।কোয়া গুলি দুই নাম্বার,পরিবর্তন করে আনলে তাও খারাপ,হাফেজখানা ওখান কাজ করতে দেয় না।এখন ছড়াখালের পাশে যে কাজ চলছে,ওখানে বাজেটবিহীন আমি নিজ উদ্যোগে গাইডওয়াল দিলাম।তবু এলাকার কিছু লোক আমরা থেকে সুবিধা না পাওয়ায় নানান অভিযোগ তুলে বিভ্রান্তি শুরু করেছে।এরপরও আমি বলেছি কাজের শেষে সড়কটি দৈর্ঘ্য ও প্রস্হ মেপে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার ও অভিযোগকারী স্হানীয়দের ডেকে বুঝিয়ে দিব বলেছি।এই কাজটিতে অনেক টাকা লস হবে।তবু জেলার নির্বাহী প্রকোশলীর অনুরোধে কাজটি করা হচ্ছে।আমি একজন ঠিকাদার।আমি সরকারী সিডিউল মোতাবেক কাজ করব।সিডিউলের বাহিরে কাজ করলে,কাজটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বুঝে নিবে না।তখন সম্পূর্ণ লস হবে আমার।এটি আমার জানা আছে।তবু কেন এত অভিযোগ? এবিষয়ে চকরিয়া উপজেলার এলজিডি কর্মকর্তা কমল কান্তি পালকে একাধিক বার ফোন করা হয়।ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।