নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজের ব্যবসাকে নিজেই অবৈধ বলে শিকার করলেন কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার জয়নাল আবেদীন নামের এক ব্যবসায়ী।
গত ( ১০ মে সোমবার) মাহে রমজানের দিবাগত রাতে এক ফেসবুকে কমেন্ট করলে সেই কমেন্টের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি নিজের ব্যবসা গুলোকে নিজেই অবৈধ বলে শিকার করলেন কুতুবদিয়ার এই জয়নাল।
সাম্প্রতিক সময়ে কুতুবদিয়ার বি এনপির কয়েকজন শীর্ষ নেতা বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ঈদ উপহার দিতে গিয়ে বেশ কয়েকজন নেতা এই উপহার গুলো বিতরণ করার সময় একজন নেতাও মাস্ক না পড়া ছবি গুলো ফেসবুকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আলোচনায় আসে সেই নেতারা।
ফেসবুকে বিএনপির মাস্ক ছাড়া এই নেতাদের ছবি ভাইরাল হলে কমেন্ট করেন কুতুবদিয়ার এক অবৈধ ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন। দেশের এই ক্লান্তি লগ্নে, মহামারী করোনা ভাইরাসের এই অস্থিতিশীল অবস্থায় মাস্ক ছাড়া ত্রাণ বিতরণ করেন বিএনপির এই নেতা গুলো, সরকারের পক্ষে যে খানে একটা স্লোগান, ‘মস্ক পড়ুন জীবন বাচুন’ মাস্ক পড়ার কথা বললে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসে উঠে কুতুবদিয়ার এই জয়নাল আবেদীন।
জানা যায় গত কয়েক মাস আগে টেকনাফের সাবেক বরখাস্তকৃত (ওসি) প্রদীপ কুমার দাসের অনিয়মের কান্ডকে কেন্দ্র করে কুতুবদিয়ার সাবেক (ওসি) দিদারুল ফেরদৌস থাকাকালীন সময়ে কুতুবদিয়া অসহায় মানুষকে মরণ ব্যাধি ইয়াবা ও যে কোন মাদক দিয়ে ফেসে দেওয়ার নাম করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় এই জয়নাল আবেদীন।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,তখনকার আমলে মাদক কারবারিদের সাথে দহরমমহরম সম্পর্ক ছিলো জয়নাল আবেদীনের। কুতুবিয়ার সাবেক (ওসি) দিদারুল ফেরদৌস আমলে থানার বিভিন্ন অফিসারদের সাথে পারসেন্টিস অনুসারে কাজ করতো এই জয়নাল আবেদীন। সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে ব্যাপক টাকা ইনকাম করতো জয়নাল আবেদীন।
জানা যায় কুতুবদিয়ার ৬ নং আলি আকবরডেইলের পূর্ব পাশে জয়নাল আবেদীনের বাড়ির দক্ষিণ পাশে জেলে পাড়ার এক পরিবারে প্রতিনিয়ত বাংলা ক্যাসিনো ছলে, সেই ক্যাসিনোতে প্রতিনিয়ত ছলে মাদকের বানিজ্য, মরণ নেশা ইয়াবা থেকে শুরু করে জুয়া পর্যন্ত এমন কোন মাদক নেই যা চলে না। সেই ক্যাসিনো নাকি পুলিশকে পারসেন্টিস দিয়ে চালাত কুতুবদিয়ার এই জয়নাল আবেদীন।
এ বিষয়ে তার কাছে সত্যতা নিশ্চিত করার জন্য জানতে চাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করার পরেও মুঠোফোনে তাকে পাওয়া যায়নি।