রামু প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত অনলাইন ফোটাল চট্টলা নিউজ,আলোকিত পাহাড় সহ বিভিন্ন অনলাইন ও পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর
নাইক্ষ্যংছড়ির কাগজিখোলার খুটাখালীর ছড়ায় অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন ও পরিবেশ ধ্বংসকালে ঝটিকা অভিযান চালিয়েছে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রশাসন। এসময় ৩টি শেলো মেশিন ধ্বংস করে ৫ লক্ষাধিক টাকার বালু জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন।
২৮ এপ্রিল বুধবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ আশরাফুল হক এ অভিযান পরিচালনা করেন। তিনি এ প্রতিবেককে জানান , বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে তিনি কাগজিখোলায় এ অভিযান চালান। সেখানে কতিপয় বালু দস্যু বালু উত্তোলনকালে মেশিন বসিয়ে বালু তোলারত অবস্থায় মোবাইল কোর্ট বসিয়ে ৩ টি শেলো মেশিন যন্ত্রপাতি সহ ধ্বংস করা হয়।
এছাড়া বিশালাকার কয়েকটি বালুর স্তুপ জব্দ করে স্থানীয় ইউপি মেম্বারের জিম্মায় দেয়া হয়। আর সতর্ক করা হয় সকলকে। এ ব্যাপারে বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আলম কোম্পানী বলেন, এ বালু দস্যুরা নাইক্ষ্যংছড়ির সীমানা পরিবর্তনের ষড়যন্ত্রসহ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে দীর্ঘদিন ধরে । যাতে করে এক দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি ও লামার মানচিত্র পাল্টে যাচ্ছে অন্য দিকে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব হারানোর পাশাপাশি পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় হেডম্যান থোয়াহ্লা মার্মা
বলেন,বালুদস্যূরা লামার তথা বহিরাগত প্রভাবশালী। তারা আইন কানুন মানেনা। তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আনতে হবে। তবেই অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ হবে। আর মানচিত্র পরিবর্তনের ঝুঁকি কিছুটা হলেও কমবে। উল্লেখ্য উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের কাগজি খোলা ও লামা উপজেলার ফাসিঁয়াখালী ইউনিয়নের লাইল্লামার পাড়ার মাঝ খানে দু’উপজেলার সীমানায় খুটাখালীর ছড়া। ঐ ছড়া থেকে দীর্ঘদিন ধরে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রভাবশালী মহলের নেতৃত্বে বালুদস্যুরা ডজনাধিক ড্রেজার মেশিন বসিয়ে দিন-রাত প্রকাশ্যে অবাধে বালু উত্তোলন করে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও পরিবেশ নষ্ট করে আসছিল। আর এ খালে বড় বাঁধ(গোদা)তৈরী করে সীমা রেখা তথা দু’উপজেলার মানচিত্র পাল্টে দেওয়ার পায়ঁতারা করছে । এছাড়া তারা আড়াআড়িভাবে মাঠির বাঁধদিয়ে খালে গতি পরিবর্তন করে নাইক্ষ্যংছড়ির বিশাল একটি অংশ লামা উপজেলায় নিয়ে যাওয়ার ফাঁদ বসিয়ে এ কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছে। ফলে পাল্টে যাচ্ছে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মানচিত্র।
এ বিষয়টি নিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ির একদল সাংবাদিক সড়জমিনে গিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে তথ্য বহুল সংবাদ প্রকাশিত হলে প্রশাসন এ অভিযান পরিচালনা করেন।