রামু প্রতিনিধিঃ
সরকার ঘোষিত সাতদিনের কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে লকডাউনে রামুতে প্রশাসনের কড়া অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে। প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনেও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সেনাবাহিনী বিজিবি-পুলিশ,র্যাব আনসার, গ্রাম পুলিশসহ বাংলাদেশ রোভার স্কাউটসদের যথারীতি দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
এদিকে লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে শুক্রবার সকাল ১১:৩০ মিনিটের দিকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনেরনির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যথাক্রমে আরফাত সিদ্দিকী ও সৈয়দ জাদী মাহবুবা মঞ্জুর মৌনার নেতৃত্বে ভাম্যমান আদালতের একটি টিম রামু চৌমুহনী স্টেশনে বিভিন্ন মুদির দোকান, ওষুধের ফার্মেসি, প্যাথলজি, এক্সরে সেন্টারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে লাইসেন্স ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে জরিমানা আদায় করেন।
অভিযান পরিচালনা কালে ভাই ভাই স্টোরসহ ২টি মুদির দোকান, চৌমুহনীতে অবস্থিত পপুলার প্যাথলজি ও মালুমঘাট এক্সরে সেন্টার পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে না পারার কারনে জরিমানা আদায় করেন,পপুলার প্যাথলজীকে যথাসময়ে কাজ পত্র নিয়ে হাজির হওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন দুই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তাছাড়া তারা রামুর সকল সব ফার্মেসি পরিদর্শন করেন এবং স্বাস্থবিধি মেনে চলার নির্দেশ প্রদান করেন। এদিকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের দুই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করলে রামু চৌমুহনীর অন্যান্য দোকানদাররা তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যেতে দেখা যায়।
লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে আর্মি টহলে দায়িত্বরত রামু উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দিন রামুর জোয়ারিয়ানালা, রশিদনগর ও পার্শ্ববর্তী ঈদগাঁও এলাকায় বিভিন্ন পথচারী ও ব্যবসায়ী বিধিনিষেধ অমান্যকারী কে পৃথক পৃথকভাবে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় বলে জানিয়েছেন।
অন্যদিকে রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাবু প্রণয় চাকমার নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম সারাদিন উপজেলার বিভিন্ন স্টেশনে টহল দেন এবং লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে ছিলেন।