মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ০১:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কক্সবাজারে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত:পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমকে আরও জোরদার করতে হবে-এডিসি শিক্ষা কক্সবাজার পৌরসভায় জনভোগান্তি ও দুর্নীতির ফাঁদে পৌরবাসী অধ্যাপক আজিজুর রহমানের পিতার মৃত্যুতে দৈনিক রূপালী সৈকত পরিবারের শোক শাহিন ডাকাতের সেকেন্ড ইন কমান্ড গর্জনিয়ার ত্রাস রহিম অধরা! পেকুয়ায় ইয়াবা ও নগদ টাকাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার চকরিয়ায় ট্রেনের ধাক্কায় মালবাহি ট্রাকের চালক-হেলপার আহত চকরিয়ায় শ্মশান থেকে রাজমিস্ত্রী সুমন বড়ুয়ার লাশ উদ্ধার শোক সংবাদ :টেকপাড়া নিবাসী অধ্যাপক আজিজুর রহমানের পিতা আলহাজ্ব ফয়েজ আহমদ মিয়া আর নেই ,আজ বাদ আছর নামাজে জানাজা চকরিয়ায় পৌরসভা ও ইউনিয়নে সেবাপ্রার্থীরা যেন বিড়ম্বনায় না পড়ে নির্দেশনায় বিভাগীয় কমিশনার ঈদগাঁওতে বিএনপির প্রয়াত নেতা কর্মীদের স্মরণ সভার প্রস্তুতি সভা যেন প্রবীণ নেতা কর্মীদের মিলন মেলা

দীর্ঘ ২৬ বছর কক্সবাজার পৌরসভার ভাড়া পরিশোধ না করে বহালতবিয়তে ৩ সমিতির অফিস!

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১২৫ বার পঠিত

হায়দার নেজাম :

কক্সবাজার পৌরসভার তিন নাম্বার ওয়ার্ড়ের অন্তর্গত বড় বাজার পৌর সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় দীর্ঘ ২৬ বছর কোন ধরনের পৌরকর ও ভাড়া পরিশোধ না করে শুধু মাহবুব মারহাবা দিয়ে বীরত্ব দেখিয়ে বহালতবিয়তে দাড়িয়ে আছে সাতকানিয়া- লোহাগাড়া সমিতি , কক্সবাজার দোকান মালিক সমিতি ফেডারেশন ও বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির অফিস। তবে একদাপ এগিয়ে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি নিজে পৌরকর ও ভাড়া পরিশোধ না করে সেই অফিস মাসিক সাত হাজার টাকা দিয়ে অন্য জন কে গোদাম ভাড়া দিয়ে বীরত্বের একদাপ এগিয়ে রেখেছেন নিজেকে।

খূঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৯৮ সালে তৎকালীন পৌরসভা চেয়ারম্যানের উদার মনের সুযোগ নিয়ে কোন ধরনের অফিস ঘরের সালামী ছাড়াই বড় বাজার পৌর সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় ৩৫×৩৬ = ১২৬০ বর্গ ফুটের অফিস ঘর নির্মাণের জন্য কক্সবাজার দোকান মলিক সমিতি ফেডারেশনের সদস্যরা তৎকালীন পৌর চেয়ারম্যান বরাবরে দরখাস্ত করে অনুমোদন হাতিয়ে নেয়। উক্ত দরখাস্তের অনুমোদনে দেখা যায় মাসিক মাত্র ৩৬৪ টাকা ভাড়ার শর্ত। দ্বিতীয় আর কোন শর্ত নেই। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলেও সত্য যে সেই ১৯৯৮ সাল থেকে এ পর্যম্ত অফিস ঘর ভাড়া বাবত একটি টাকাও ফেডারেশনের পক্ষ থেকে পৌরকর/ভাড়া পরিশোধ করা হইনি।

তেমনি ভাবে ১৯৯৯ সালে একই তরিকাই ২৪×২০=৪৮০বর্গ ফুটের অফিস ঘর নির্মাণের জন্য সাতকানিয়া- লোহাগাড়া সমিতি ও মাসিক মাত্র ৪৮০ টাকার শর্তে অনুমোদন হাতিয়ে নেয়। কিন্তু ১৯৯৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যম্ত দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে সাতকানিয়া লোহাগাড়া সমিতি ও অফিস ঘর ভাড়া বাবত একটি টাকাও পোরকর/ভাড়া পরিশোধ করেনি। সেই সাথে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি ও একই পথ অবলম্বন করে মাসিক মাত্র ৩০০ টাকা ভাড়ার শর্তে তারাও তৎকালীন পৌর চেয়ারম্যানের কাছে অনুমোদন হাতিয়ে নেয়। তবে ফেডারেশন ও সাতকানিয়া -লোহাগাড়া সমিতির অনুমোদনের দরখস্ত পাওয়া গেলে ও বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি কত সালে অফিস ঘর নির্মাণের জন্য তারা অনুমোদন নিয়েছেন সেই বিষয় পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে কোন অনুমোদনের নতি বা দরখাস্ত নেই বলে জানান কর্তৃপক্ষ। অনেক খূঁজাখূজিঁর পর ২৮ নভেম্বর ২০১২ সালে তৎকালীন পৌর মেয়ের বরাবরে একটা দরখাস্ত পাওয়া যায় উক্ত দরখাস্তে লিখা আছে ২০১২ সাল পর্যম্ত বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির অফিস ঘরের সমস্ত ভাড়া মওকুফ করার আবেদন। মজার বিষয় হচ্ছে ঐ আবেদন ও পৌর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ভাড়া মওকুফ গৃহীত হইনি। শুধু দরখাস্ত নতিজাত হিসাবে রয়েছে।

এ বিষয়ে কক্সবাজার পৌরসভার বাজার তদারককারী দায়িত্বে থাকা উত্তম পালের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান , এই তিন সমিতির অফিস ঘর এখনো পৌরসভার নথিভূক্ত হইনি কারাণ পৌরসভার নিয়ম অনুযায়ী যারা পৌরসভার জায়গা বা দোকান ও অফিস ঘর যায় হোকনা কেন সে যদি পৌর শর্ত অনুযায়ী ভাড়া বা পৌরকর প্রধান শুরুও না করে তাহলে সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কি ভাবে নতিভুক্ত হবে? আর বেশি কিছু বলার আমার এখতিয়ার নেই বাকিটুকু পৌর প্রশাসকের কাছে জানার অনুরোধ করেন তিনি।

এ ব্যাপারে সাতকানিয়া লোহাগাড়া সমিতির সভাপতি ফরিদ সওদাগরের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান আমরা এই দোকান ঘর নিজ অর্থ খরচ করে করেছি এরপর ও কাউন্সিলর হওয়ার পর থেকে এ পর্যম্ত প্রায় এই অফিস মাহবুব বেশি ব্যবহার করছিল তাই ভাড়ার জন্য তেমন কোন ছাপ ছিলনা। আবারও জানতে চাওয়া হয় ছাপ ছিলনা বলে পৌরসভার ভাড়া কি মওকুফ হয়ে যায়? জবাবে তিনি বলেন পৌরসভার ভাড়ার কথা আমার তেমন মনে নেই চুক্তিপত্র দেখতে হবে। এ ব্যাপারে ফেডারেশনের সভাপতি সাবেক মেয়র মাহবুব কে অনেক বার ফোন কারা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

ফেডারেশনের সাধারণত সম্পাদক হাসেম সওদাগরের কাছে সরাসরি জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন আমি নতুন সাধারণ সম্পাদক এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি নাইমুল ইসলাম টুটুল কে অনেক চেষ্টা করে ও তার সাথে ফোনে কথা বলা বা সরাসরি দেখা কারা সম্ভব হইনি।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার পৌর প্রশাসক মোহাম্মদ রফিকুল হকের কাছে সারসরি জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান আমি এ মাত্র আপনার কাছে শুনলাম পৌরসভায় রক্ষিত কাগজ পত্র পর্যালোচনা করে অতি দ্রুত তিন সমিতির ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs