নুরুল আমিন সিদ্দিকঃ
করোনা সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার্থে গত দেড় বছর যাবত স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকার পর অবশেষে রোববার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হয়। গত রোববার যথাসময়ে স্কুল কলেজ খোলার ঘন্টা বাজিয়ে উঠলে দলেদলে ছাত্র-ছাত্রীরা স্বতস্ফূর্তভাবে ভাবে নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে। কক্সবাজার শহরের বইল্লা পাড়া এলাকায় অবস্থিত বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমী ও কক্সবাজার ডিসি কলেজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ প্রবেশমুহূর্তে দেখা যায় শিক্ষার্থীরা আনন্দ উল্লাস করে প্রবেশ করছে।প্রাপ্ত তথ্য জানা যায়, গত বছর এর ১৭ই মার্চ থেকে সারাদেশে আকর্ষিক মহামারী করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারনে সরকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষানা করেন৷ ২৩ দফা বাড়ানো হয় ছুটি।পরিশেষে ১২ই সেপ্টেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে স্ব-স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যথারীতি শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার আওতায় খোলা হলে ১১দফা নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস নেওয়ার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার লক্ষ্য প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। চলতি ২০২১-২০২২ সালে এসএসসি ও এইচএসসি পরিক্ষার্থী এবং ৫ম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন। অনন্য শ্রেণির ক্লাস হবে একদিন। প্রতিবেদক কলেজে পরিদর্শনে গেলে দেখতে পান যে স্থানীয় সামাজিক সংগঠন ”মিছিল বাংলাদেশ” এর একদল শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতন করতে মানবিক ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার স্বার্থে জনসচেতনতা মুলক লিফলেট বিতরণ করছে।উক্ত ”মিছিল বাংলাদেশ” সংগঠনের পক্ষে সাইফুদ্দিন শাওন জানান যে, দীর্ঘ দেড় বছর ধরে শিক্ষার্থীরা স্কুল-প্রতিষ্ঠান এ আসতে পারেন নি। যথারীতি স্বাস্থ্য বিধি মেনে গত ১২ই সেপ্টেম্বর রোববার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হলে শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আসা শুরু করে। শিক্ষার্থীদের ও অভিভাবকদের মহামারী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতন করার লক্ষ্যে আমরা কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান এ জনসচেতনতা মূলক লিফলেট বিতরন করি।