নিজস্ব প্রতিবেদক:
তদন্তের নামে কক্সবাজারে এসে প্রমোদ ভ্রমন আর ভুড়ি ভোজন করে চলে গেছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইন্টারনাল অডিট ইউনিট অফিসার মো: আনোয়ার হোসেন। ১৬ নভেম্বর কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের ৪ জন কর্মকর্তা কর্মচারীর বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগ বানিজ্য বিষয়ে দৈনিক বীর চট্টগ্রাম মঞ্চ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তদন্ত হওয়ার কথা ছিল। এই তদন্তে দৈনিক বীর চট্টগ্রাম মঞ্চ পত্রিকার কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি মাহাবুবুর রহমানকে অধিদপ্তর থেকে চিঠি দেওয়া হলেও সেই চিঠি গোপন করে অতি গোপনীয়তার সাথে নামকাওয়াস্তে তদন্তের নামে বিলাসী ট্রিপ নিয়ে কক্সবাজার ছেড়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
জানা গেছে,প্রাথমিক শিক্ষা অধিপ্তরের পক্ষ থেকে ৩৮.০১.০৫.১৫৫.০০.০৬৬.২০২০.৩২০ স্বারক মূলে ৩০ অক্টোবর সহকারী পরিচালক ইন্টারনাল অডিট ইউনিট মো: আনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার নোটিশ সংক্রান্ত এক চিঠিতে কক্সবাজার জেলার নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকগণের পদায়নকে পূজি করে ৪ কোটি টাকার উৎকোচ গ্রহনের মিশন বিষয়ে তৎকালীন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: জেছের আলী, উচ্চমান সহকারী মো: রফিক উদ্দিন,অফিস সহকারী মো: ইয়াছিন,অফিস সহকারী মো: বশির আহামদ এর বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম ১৬ নভেম্বর ২০২৪ সকাল ৯ টায় কক্সবাজার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে অনুষ্টিত হবে মর্মে চিঠি দেওয়া হয়। এতে প্রতিবেদক হিসাবে বীর চট্টগ্রাম মঞ্চ কক্সবাজার প্রতিনিধি মাহাবুবুর রহমানকেও উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়েছে।
এ ব্যপারে বীর চট্টগ্রাম মঞ্চ কক্সবাজার প্রতিনিধি এবং কক্সবাজার সদর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহাবুবুর রহমান বলেন, আমি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে যে একটি তদন্ত টিম আসছে সেটা ১৬ তারিখের পরে শুনেছি। পরে কৌশলে আমি তদন্তের চিঠি বের করেছি। আমাকে অফিসিয়ালি কেউ দেয়নি। তবে আমি শুনেছি আমাকে চিঠি দেওয়ার জন্য জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসকে বলা হয়েছিল। এছাড়া আমি জানতে পেরেছি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে যে তদন্ত কর্মকর্তা এসেছেন তিনি ২ দিন আগে কক্সবাজার এসে শহরের একটি তারকা হোটেলে অবস্থান করে,কলাতলী রোড়ের আল গণি হোটেল থেকে নিয়মিত খাবার খেয়ে আয়েশী ভাবে কক্সবাজার থেকে চলে গেছেন। ১৬ নভেম্বর সকালের দিকে একবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে গিয়েছিলেন তাও তদন্তের জন্য নয় নাকমা ওয়াস্তে। মূলত ধারনা হচ্ছে আগে থেকে সব কিছু ম্যানেজ হয়ে গিয়েছে।
এ ব্যপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা মো: আনোয়ার হোসেন বলেন,আমি কক্সবাজার গিয়েছি তদন্ত করেছি তবে আপনাকে কেন চিঠি দেওয়া হয়নি সেটা জানিনা। চিঠি কিন্তু কয়েক দিন আগেই প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে গেছে। এর পরও আপনার হাতে যদি কোন তথ্য প্রমান থাকে তাহলে আমাকে দিলে আমি তদন্ত রিপোর্টে অন্তর্ভুক্ত করবো।
এ ব্যপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: শাহীন মিয়া বলেন,আমি তদন্ত বিষয়ে কিছু জানিনা,শুনেছিলাম তদন্তকারী কর্মকর্তা এসেছিল। আমার সাথে দেখা হয়নি, যেহেতু তদন্তে আমাকে রাখা হয়নি তাই আমি খোঁজ রাখিনি।
এ ব্যপারে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপ পরিচালক মো: আতাউর রহমানের কাছে ফোন করলে উনার পিস আব্বাস উদ্দিন মোবাইল রিসিভ করে বলেন,স্যার এখন মিটিংয়ে ব্যাস্ত। আমি আপনার বক্তব্যটি স্যারকে জানাবো।
এ ব্যপারে প্রাথমিক শিক্ষা ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: ফরিদ আহাম্মদ বলেন, বিষয়টি আমার নলেজে নাই আপনি অধিদপ্তরে কথা বলুন। আর আমি নোট রাখছি আমিও খোঁজ নেব।