জিয়াউল হক জিয়া,চকরিয়াঃ
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের বাস ষ্টেশন থেকে পার্বত্য লামার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের সীমান্ত মুখ পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে এমন অভিযোগ জনপ্রতিনিধিদের।
অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গেলে দেখা যায়,ডুলাহাজারা বাস ষ্টেশনের মরকাজ সড়ক হয়ে পার্বত্য ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের সীমান্ত মুখ অলিবাপের জুমের পূর্বে পর্যন্ত গ্রামীণ সড়ক যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।বর্তমানে সড়কটি বাণিজ্যিক সড়কে রূপান্তরিত। উক্ত সড়কে দিন-রাত ছোট-বড় অজস্র যানবাহন চলাচল করে।এতে দৈনন্দিন যাতায়াত করে ডুলাহাজারার বৃহত্তর ৯নং ও ৮নং ওয়ার্ডের মানুষ।পাশাপাশি একইভাবে চলাচল করে পার্বত্য ইউপির ১,২ ও ৩নং ওয়ার্ডের মানুষ।ফলে ভাড়ায় চালিত শতাধিক মোটরসাইকেল,ইজিবাইক,অটোরিকশা,জীপ গাড়ী।এছাড়াও ছোট-বড় ট্রাক গাড়ী দিয়ে আসছে সামাজিক বনায়নের গাছ,বনের গাছ,বাঁশ,বাদিলী,ঝাঁড়ু,অবৈধ বালু,মাটি,পাথর।এসব গাড়ী চলাচলের কারণে সড়কটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়।এতে করে সাধারণ যাত্রীবাহী গাড়ীগুলো প্রতিদিন র্দুঘটনার শিকার হচ্ছে।আহত হচ্ছে বৃদ্ধ,প্রসূতি,শিক্ষার্থীসহ নানান পেশার মানুষ।বর্তমানে সড়কটি ক্ষতবিক্ষত হলেও আবার অনেক জায়গায় ইট পর্যন্ত ভেঙে মাটির সাথে মিশে গিয়েছে।ফলে উচু-নিচু এই সড়কটির ভগ্নদশার শেষ নেই।দীর্ঘ তিন বছর যাবৎ গ্রীষ্ম আসলে যেমন-তেমন, বর্ষা আসলে অন্তহীন ভোগান্তির শেষ নেই।
এবিষয়ে ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার জসিম উদ্দিন বলেন,আমার ওয়ার্ডস্হ পুরো সড়কটির খুবই লাজুক অবস্হা।এর কারণ উক্ত সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত-শত ছোট-বড় ট্রাক গাড়ী ডুকে।এই গাড়ী দিয়ে গাছ,বাঁশ,বালু,মাটি ও পাথর আনায়ন করায় সড়কটি মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।এবিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে উপজেলা সহ অনেক জায়গায় সড়কটি সংস্কারে দাবী জানিয়ে চিঠি দিয়েছি।তবে এখনো প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন সহযোগিতা পায়নি।
পার্বত্য লামার ফাঁসিয়াখালী ইউপির চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার বলেন,আমার ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডের মানুষ এই সড়কের উপর দিয়ে চলাচল করে।এখন সড়কটি ভয়ংকর অবস্থা।তার কারণ মালবাহী বড় গাড়ী ডুকার ফলে বর্তমানে সড়কটি ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়েছে।এবিষয়ে ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের আবেদন কপি সহ আমিও একটি আবেদন লিখে এলজিডির সিনিয়র সচিব বরাবরে পাঠিয়েছি।
এবিষয়ে চকরিয়া উপজেলার এলজিডি কর্মকর্তা কমল কান্তি পাল বলেন,ডুলাহাজারা পরিষদ থেকে এই সড়কের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।তাই সড়কটি দ্রুত সংস্কারের জন্য আবেদনটি উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি।এখনো কোন বাজেট আসেনি।আসলে কাজটি শুরু করা হবে।