নিজস্ব প্রতিবেদ,কক্সবাজার:
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজরায় ইয়াবা ব্যবসা ও কিশোর গ্যাং এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় তাদের প্রতিনিয়ত হুমকি ধমকিতে ঘর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে শিক্ষক জহিরুল ইসলাম।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষক চকরিয়া সিনিয়র চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরী করেছে।
জানা যায়, ডুলাহাজরা নতুন পাড়া এলাকার বজল আহমদের ছেলে শিক্ষক ,লেখক ও অক্সফোর্ড ক্যামব্রিজ ও টু ফেল ইংলিশ গ্রামার গবেষক জহিরুল ইসলামের গ্রামে কিশোর গ্যাং ও ইয়াবা ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকার পরিবেশ বিঘ্নিত করে আসছে । এলাকায় ইয়াবা বিকিকিনি, ইয়াবা সেবন এবং কিশোর গ্যাং গঠন করে ইভটিজিং, ছিনতাই সহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত করে আসছে। জহিরুল ইসলাম এ সব অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে এবং এদেরকে জানায় এ সব কারনে এলাকার যুব সমাজ মাদকাসক্ত হয়ে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে এবং বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।এ সব বন্ধ করতে হবে। এতে ঐ চক্রটি ক্ষীপ্ত হয়ে রাতের অন্ধকারে জহিরকে লক্ষ্য করে গুলি করে।
লক্ষ্য ভ্রষ্ট হয়ে জহির প্রানে বেঁচে যায়। পরদিন জহির প্রতিবাদ করলে ইয়াবা ব্যবসায়ী এবং অবৈধ অস্ত্রধারী শাহাজান, তানজিম, মিছবাহ, সওকত, জাওয়াদ এবং আনার কলি সহ আরো অজ্ঞাত ১০/১২ জন শিক্ষক জহির এর বাড়িতে হামলা করে এবং জহিরকে মেরে ফেলার প্রকাশ্যে হুমকি দেয়। এরপর শিক্ষক জহিরুল ইসলাম জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আদালতে এদেরকে বিবাদী করে সাধারণ ডায়েরী করে।
এ সংবাদ পেয়ে এরা আরো বেপরোয়া হয়ে শিক্ষক জহিরুল ইসলাম কে প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে।
এলাকার জসিম , ফরহাদ,ব্যবসায়ী মনির সহ অনেকে জানান, শাহজাহানকে ডাকাতি কালে জনগণ গনধুলাই দিয়ে এক সময় কোমর ভেঙে দেয়।তার বোন আনার কলি ইয়াবা সহ আটক হয়ে দীর্ঘদিন জেল খাটছে।
এক সময়ের সেই শাহজাহানের বর্তমানে ডুলাহাজরা নুতন পাড়া এলাকায় ২ টি এবং কক্সবাজার শহরে একটি বহুতল ভবনসহ অনেক নগদ টাকা রয়েছে ।সব ইয়াবা কারবারের টাকা। আরো ও জানান,এ গ্রুপের অন্যতম সদস্য তানজিম উদ্দিনের হাতে অবৈধ অস্ত্রের ছবি সম্প্রতি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। তাকে গ্রেফতার করে অস্ত্র উদ্ধারের দাবি উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ।
এ ব্যাপারে শিক্ষক জহিরুল ইসলামের সাথে কথা হলে জানান, বর্তমানে তিনি ঘর বাড়ি ছেড়ে পালাতক জীবন যাপন করছে। চিহ্নিত অস্ত্রধারী,ডাকাত ,ইয়াবা ব্যবসায়ী ও কিশোর গ্যাং এর সকলকে আইনের আওতায় এনে এলাকার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।