শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:২২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
অনিয়ম ও দুর্নীতির ঊর্ধ্বে থেকে পরিচ্ছন্ন কক্সবাজার গড়তে সহযোগিতা চাইলেন নবাগত জেলা প্রশাসক চলছে যৌথ বাহিনীর অভিযান:১৩দিনে ১৫৫ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭২ ভারতের কাছে হারানো ২০০ একর জমি ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ মাতারবাড়ীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) উপলক্ষে জশনে জুলুছ ফাসিঁয়াখালীতে ১০কেজি ওজনের অজগর সাপ উদ্ধার কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে পবিত্র মাহফিলে মিলাদুন্নবী (স:) উদযাপন রেকর্ড বৃষ্টিতে কক্সবাজার প্লাবিত, পাহাড় ধ্বসে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও কক্সবাজার সদরে ৬ জনের মৃত্যু সাধারণ মানুষকে পুলিশ হয়রানি করলে আমি তাকে হয়রানি করবো- কক্সবাজারের নবাগত পুলিশ সুপার উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক শিশু ছাত্রের শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক মাদ্রাসা শিক্ষক আটক কুতুবদিয়ায় এক ডাকাত আটক

ডিজেল চোরাকারবারী থেকে ইয়াবা রাজ্যের অধিপতি লেদার ইয়াবা জাহাঙ্গীর!

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২১
  • ৩৩৯ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক।
এক সময়কার ছোট্ট মুদির দোকানী এবং ডিজেল চোরাচালানী সিন্ডিকেটের প্রধান ছিলেন লেদার ইয়াবা জাহাঙ্গীর। চোরকারবারী থেকে কৌশলে ইয়াবা রাজ্যের অধিপতি বনে গেছেন এই শীর্ষ চোরাকারবারী। আলাদীনের চেরাগের মত এই চোরাকারবারী এখন কোটি কোটি টাকার মালিক।
অল্পদিনেই গড়ে তুলেছেন একাধিক বহুতল ভবন, টাওয়ার এলাকায় নির্মাণ করেছেন বিশাল একটি মার্কেট এবং কিনেছেন কয়েক একর ভূ-সম্পত্তি।
কারবারী হওয়ার বদৌলতে বনে গেছেন স্থানীয় প্রভাবশালী। অনেকে বলছেন, পশ্চিম লেদা এলাকার জনৈক মীর কাশেমের ছেলে কারবারী জাহাঙ্গীরের হাতে নাকি যাদু রয়েছে। এই যাদুর গুণে সে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।
আরো জানাগেছে,তালিকাভূক্ত ইয়াবা কারবারী-মাদক সংশ্লিষ্ট নেতাদের আশ্রয়ে পালিত ডিজেল চোরা এই ইয়াবা জাহাঙ্গীর এখন লেদা এলাকার এক মূর্তিমান আতংকের নাম।
স্থানীয় সুত্র জানায়,বন্দুক যুদ্ধে ২শতাধিক মাদক কারবারী নিহত এবং প্রাণে বাঁচতে ২ দফায় ১২২জন ইয়াবা কারবারী আত্মসমর্পণ করেন। তৎপরবর্তীতে শত শত ইয়াবা কারবারী বিদেশে পালিয়ে যান এবং কতিপয় কারবারীরাও প্রানে বাঁচতে বিভিন্নভাবে আত্মগোপনে চলে যান।
বন্দুক যুদ্ধ এবং আত্মসমর্পণ পরবর্তী সময়ে ডিজেল চোরা জাহাঙ্গীর রাতারাতি হয়ে যান লেদার ইয়াবা রাজ্যের একচ্ছত্র অধিপতি। লেদার ইয়াবা রাজ্যের নেতৃত্ব পেয়ে ডিজেল চোরা শীর্ষ এই কারবারীর দাম্ভিকতাও বেড়ে গেছে।
বর্তমানে লেদাসহ পুরো দক্ষিণ হ্নীলার ইয়াবার নিয়ন্ত্রণক জাহাঙ্গীর। এলাকার উঠতি বয়সের যুবকদের নিয়ে বিশাল একটি চোরাকারবারি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। দুঃখজনক হলেও সত্য! এই গডফাদার এবং চোরাচালানী সিন্ডিকেট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেহায়ার মত মাদকের বিরুদ্ধে অনেক সময় সোচ্চার থাকেন।
লেদা টাওয়ার এলাকার এক প্রবাসী জানান,স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং এক নেতার আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে জাহাঙ্গীরের মত ইয়াবা কারবারীরা এলাকায় এখন বড় বড় কথা বলেন। মুরব্বীদের উপর সময়ে অসময়ে মাতব্বরি করেন। টাওয়ার এলাকার ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা জানান,জাহাঙ্গীর লেদা টাওয়ার এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছেন। যখন যা ইচ্ছা তাই করে বেড়াচ্ছেন।
লেদার এলাকার শীর্ষ এক দোকানদার জানান,জাহাঙ্গীর ইয়াবার বদলে রড় এবং সিমেন্ট বিক্রি করছেন। লেদাসহ আশেপাশের এলাকায় ইয়াবা বদলে রড় এবং সিমেন্ট দিচ্ছেন। একটি হালাল ব্যবসাকে ইয়াবায় অদল-বদলের মাধ্যমে সম্পূর্ণ হারামী করেছেন।
লেদা এবং আশেপাশের এলাকা ইয়াবা ও চোরাচালান মুক্ত করতে চোরাচালানী সিন্ডিকেটের প্রধান ইয়াবা জাহাঙ্গীরকে আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন লেদা টাওয়ার এলাকার ব্যবসায়ীরা। সচেতন সমাজের লোকজন জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি তার দুদকের একটি টীম দিয়ে সবকিছু তদন্তের জন্য জোর দাবী জানিয়েছেন।
অভিযুক্ত ডিজেল ও ইয়াবা চোরাকারবারি জাহাঙ্গীরের মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করা হয়। মোবাইল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আব্দুল আলিম জানান,মাদক কারবারী জাহাঙ্গীর কেন? মাদক ব্যবসায়ী যেই হোক না কেন। তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এদিকে তিনি জাহাঙ্গীরের বিষয়ে পুলিশ খবরা-খবরি নিচ্ছেন বলেও জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs